প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন ডিসি নিয়োগে ঘুষের অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে পদে থাকা স্বৈরাচারের দোসরদের অপসারণের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রেস সচিব বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারে ৬টির মধ্যে ৫টি কমিশন চূড়ান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রথমে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আগামী শনিবার (৫ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ হবে।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কোন ধরনের বাধা নেই উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার এ প্রেস সচিব বলেন, তবে ডিজইনফরমেশন যেন না প্রচার হয় সে বিষয়ে নজর রাখতে হবে।
রাষ্ট্রদূতদের ঢাকায় আনার বিষয়ে তিনি বলেন, মূলত অবসর প্রক্রিয়াধীন থাকায় দুজন হাইকমিশনার ও চারজন রাষ্ট্রদূতকে রিকল করা হয়েছে। এ ছাড়া মালদ্বীপ ও কাতারের সঙ্গে বন্দী বিনিময় চুক্তি হয়েছে।
শফিকুল আলম বলেন, উপদেষ্টা পরিষদে গার্মেন্টস শ্রমিকদের অসন্তোষ নিয়ে স্থায়ী সমাধানের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত , বৃহস্পতিবার দৈনিক কালবেলায় ‘আমার 5C হলেই চলবে, স্যার 10C রাখব’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এ প্রতিবেদনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান এবং একই মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিবের হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথনে ঘুষের বিষয়টি এসেছে বলে অভিযোগ করা হয়।
এদিকে, ডিসি নিয়োগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের বিরুদ্ধে ওঠা ঘুষের অভিযোগ তদন্তে তিন উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে দেওয়া এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
ডিসি নিয়োগে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ সরকার তদন্ত করবে কি না; জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘অবশ্যই আমরা এটার তদন্ত করব, সরকার (তদন্ত) করবে। কিন্তু এখানে দুটি জিনিস মিডিয়াকে মাথায় নিতে হবে।
এটাও কিন্তু আমরা তলিয়ে দেখছি যে ক্লিপটা সোশ্যাল মিডিয়ায় বহুল প্রচারিত হয়ে গেল, সেটা কতখানি এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) প্রডিউসড। সেটা কতখানি রিয়েল, কতখানি ফেক আমাদের মতো সাধারণ মানুষ বলতে পারে না। ইমিডিয়েটলি যে সিদ্ধান্তটা হয়েছে এটার টেকনিক্যাল ইন্টিগ্রিটিটা কী সেটা জানার জন্য কেবিনেটে (উপদেষ্টা পরিষদে) কথা হয়েছে।’
উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, ‘সেটা ইনভেস্টিগেট করে ইমিডিয়েটলি দেখতে হবে। আমরা অবশ্যই তদন্ত করব।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘অত্যন্ত দায়িত্বশীল জায়গায় প্রতিষ্ঠিত কর্মকর্তাদের কোনো ধরনের দায়িত্বহীনতা মেনে নেওয়া যাবে না। এটাও আমাদের অনুশাসনের অধীনে আনতে হবে।’
মন্তব্য করুন