হাওরে এলাকাভিত্তিক মাছ রক্ষায় সময় নির্ধারণের আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, মাছের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠীর কথা আমাদের ভাবতে ও অগ্রধিকার দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে তাদের জীবনযাত্রায় কোনো ব্যাঘাত না ঘটে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিকেলে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে ‘হাওর অঞ্চলে দেশীয় প্রজাতির মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, হাওরে এমন কোনো নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করা যাবে না, যে জাল দিয়ে মাছ সমূলে নিধন হয়। হাওরে ধানের জমিতে বিষাক্ত রাসায়নিক বা কীটনাশক যাতে ব্যবহার না হয়, সে বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার অভিমত ব্যক্ত করেন। এক্ষেত্রে মৎস্য অধিদপ্তরকে আইনের কঠোর প্রয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
কর্মশালায় হাওর এলাকার ইজারার বিষয়ে আলোচনা হলে উপদেষ্টা হাওরের সঙ্গে ইজারাদারদের স্বার্থ সাংঘর্ষিক বলে মনে করেন। তিনি বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয় ইজারা দিলেও ইজারার শর্ত কঠোরভাবে প্রয়োগ করে হাওর বাঁচাতে হবে। প্রয়োজনে বৃক্ষরোপণ করে হাওর অঞ্চলে প্রাকৃতিক পরিবেশের সুরক্ষা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জলাভূমির গুরুত্ব তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে রামসার কনভেনশনে সই করলেও এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা মানছে না। বিশ্বব্যাপী প্রতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ‘বিশ্ব জলাভূমি দিবস’ পালন করা হয়। বাংলাদেশে একই তারিখে হাওরে এ দিবস পালনের আহ্বান জানান। এছাড়া হাওরের গুরুত্ব উপলব্ধিতে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে মর্মে অভিমত ব্যক্ত করেন।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, অতিরিক্ত সচিব এটিএম মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব আব্দুল কাইয়ূম, অতিরিক্ত সচিব আমেনা বেগম, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র, হাওরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার।
মন্তব্য করুন