সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, প্রবীণদের দক্ষতা চিহ্নিত করে, সে অনুযায়ী সমাজের উন্নয়নে তাদের কাজে লাগাতে উদ্যোগ গ্রহণ করবে সরকার। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি জীবনের প্রতিটি ধাপ গুরুত্বপূর্ণ। জীবনের প্রতিটি ধাপেই সমাজের জন্য কাজ করার ও ভূমিকা রাখার সুযোগ থাকে।
মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস ২০২৪-উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) শাহেদ পারভেজ। আলোচনা সভায় দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মো. রবিউল ইসলাম। আরও বক্তব্য দেন হেল্প এইজ ইন্টারন্যাশনাল নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের চেয়ারপারসন শরীফ মোস্তফা হেলাল, সাবেক শিক্ষক ও প্রবীণ হিতৈষী সংঘের জীবন সদস্য ফেরদৌসী বেগম, বিসিকের সাবেক মহাব্যবস্থাপক ও প্রবীণ হিতৈষী সংঘের জীবন সদস্য মঞ্জু আরা বেগম, সাবেক সচিব ও প্রবীণ হিতৈষী সংঘের জীবন সদস্য এম শামছুল হক।
প্রবীণদের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, আপনারা নিজেদের অক্ষম ও অপাংক্তেয় মনে করবেন না। আপনাদের সমাজের জন্য অনেক কিছু দেওয়ার আছে, সেই সঙ্গে যথাযথ মর্যাদা আপনাদের প্রাপ্য। বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরাবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে তিনি বলেন, আপনারা নিজেদের সমস্যা নিজেরা সমাধান করার চেষ্টা করবেন। আমরা আপনাদের পাশে আছি, প্রয়োজনে আমরা আপনাদের সহায়তা করব। অধ্যাপক মো. রবিউল ইসলাম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, ২০০১ সালে আদমশুমারী অনুযায়ী ৫ দশমিক ৪২ শতাংশ প্রবীণ ছিলেন। ২০২২ সালে তা বেড়ে ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ হয়েছে। তাদের সামাজিক বিমার আওতায় আনা, প্রত্যেক সরকারি হাসপাতালে প্রবীণ কর্নার, সিটিজেন কার্ডের প্রতি জোর দেন তিনি। মঞ্জু আরা বেগম প্রশ্ন রাখেন, প্রবীণরা এই সমাজে অবহেলিত, কেন তাদের কথা ভাবা হয় না, কোনো পরিকল্পনা নেওয়া হয় না। হাসপাতালে কেন প্রবীণ কর্নার নেই।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীন সমাজসেবা অধিদপ্তর নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করে। সকালে উপষ্টো শারমীন এস মুরশিদ বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে দিবসের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। শোভাযাত্রা শেষে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আলোচনা সভা, জাতীয় পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ, মোবাইল অপারেটরদের মাধ্যমে ক্ষুদেবার্তা প্রেরণ, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
মন্তব্য করুন