বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, সুপারশপে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ।
মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশান-১ নম্বরের ইউনিমার্টে পলিথিনের পরিবর্তে পাটের ব্যাগ ব্যবহারে ক্রেতাদের উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের কোনো সুপারশপে ১ অক্টোবর থেকে পলিথিন ব্যাগ রাখা যাবে না। এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ। পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, পরিবেশ রক্ষা করতে হবে। পরিবেশ সবার আগে। আগামী নভেম্বর থেকে দেশে পাটের ব্যাগ ও বস্তার ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। পাটের ব্যবহার দেশব্যাপী বাড়াতে হবে। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
এ সময় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কনফারেন্স রুমে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চত্বরসহ সামনের সড়কের তিন কিলোমিটার নীরব এলাকার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, পলিথিন বন্ধে ২০০২ সাল থেকে আইন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে সুপারশপে পলিথিন দেওয়া হবে না। গ্রাহক ব্যাগ না আনলে বিকল্প ব্যাগ দেবে সুপারশপগুলো। তারা তাদের চাহিদা অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়েই এটি পালন করবে।
জানা গেছে, রাজধানীর সুপারশপগুলো পলিথিন ব্যাগের পরিবর্তে কাগজ, পাট ও কাপড়ের ব্যাগে পণ্য দেওয়া হচ্ছে। তবে আগে বিনামূল্যে পলিথিন ব্যাগ দেওয়া হলেও এখন পাট বা কাপড়ের শপিং ব্যাগের জন্য নেওয়া হচ্ছে মূল্য।
সুপারশপ কর্তৃপক্ষ বলছেন, কেনা দামে এসব ব্যাগের মূল্য রাখা হচ্ছে। আর মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন ক্রেতারা। কেউ কেউ বলছেন, পরিবেশের স্বার্থে কিছুটা বাড়তি খরচ করতে সমস্যা নেই। আবার কেউ বলছেন, বিকল্প এসব ব্যাগের দাম বাড়তি খরচ যোগ করছে ক্রেতার ওপর। ফলে সহজলভ্য ও সস্তায় বিকল্প পণ্য সরবরাহে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
মন্তব্য করুন