সুস্থ ভবিষ্যতের জন্য কঠোরতর তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রবর্তন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছে ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দ্য রুরাল পুয়র (ডরপ)।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় ‘তামাকবিরোধী ক্যাম্পেইনে তরুণ প্রতিনিধিদের অ্যাডভোকেসি’ শীর্ষক প্রশিক্ষণে এ সব কথা বলা হয়। এ ছাড়া কর্মশালাটিতে কীভাবে তামাকমুক্ত সমাজ গঠন করা যায় এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা মতামত তুলে ধরেন। পাশাপাশি তরুণরা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রবর্তনের আহ্বান জানান।
কর্মশালাটি ডরপের সাত দিনব্যাপী কর্মশালা পরিচালনার উদ্যোগের অংশ। ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২৫ শিক্ষার্থী কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। শেষ দিনে অংশগ্রহণকারীরা সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাসের দাবি জানান।
কর্মশালাটি পরিচালনা করেন ডরপ প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর রুবিনা ইসলাম। সংশোধিত আইন প্রয়োগের গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, একটি স্বাস্থ্যকর ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের তরুণদের প্রাপ্য, এর শুরুটা হবে শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের মধ্য দিয়েই।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ৭৫% মানুষ নিম্ন স্তরের মূল্যের সিগারেট খায়। তামাকের মূল্য বৃদ্ধি পেলে সিগারেট কেনা তাদের জন্য গুরুতর আর্থিক চাপ সৃষ্টি করবে।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা প্রস্তাব দেন, এই নিম্ন স্তরের সিগারেটের দাম বাড়ালে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কার্যকরভাবে কমে যাবে। ফলে তাদের মধ্যে তামাক সেবনের হার হ্রাস পাবে।
তামাক পণ্যের নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৬টি প্রস্তাবনা উপস্থাপন করে ডব়প।
এই প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে রয়েছে : খুচরা সিগারেটের বিক্রয় নিষিদ্ধ করা, বিক্রয় স্থানে তামাক পণ্যের দৃশ্যমানতা সীমিত করে বিজ্ঞাপন কমানো, তামাক কোম্পানির করপোরেট সামাজিক দায়িত্ব উদ্যোগ নিষিদ্ধ করা, ইলেকট্রনিক সিগারেট এবং অন্যান্য নতুন তামাক পণ্যের আমদানি, উৎপাদন এবং বিপণন নিষিদ্ধ করা, তামাকের সব রকম খুচরা এবং খোলা বিক্রয় নিষিদ্ধ করা, তামাক প্যাকেজিংয়ের গ্রাফিক স্বাস্থ্য সতর্কীকরণ ৫০% থেকে ৯০ শতাংশ বাড়ানো এবং তামাক ব্যবহারের বিপদ সম্পর্কে জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
মন্তব্য করুন