ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ৫ আগস্ট পুলিশের গুলিতে আহত কারিমুল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শহিদ কারিমুল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) অঙ্গসংগঠন গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কর্মী ছিলেন।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যান।
জানা যায়, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যাত্রাবাড়ি এলাকায় অংশ নেন কারিমুল। আন্দোলন চলাকালে পুলিশ ছাত্র-জনতাকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছুড়লে সে গুলিবিদ্ধ হয়। পরবর্তীতে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয় তাকে। কয়েক দফা অস্ত্রোপচারের পর দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে আজ মারা যান।
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল অলি আহমদ (বীর বিক্রম) এবং মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান এবং কারিমুলের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
হাসপাতালের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি সিলেটে নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেখানে জানাযা ও দাফন-কাফন সম্পন্ন হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২১ সেপ্টেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পতনের একদফা দাবিতে গত জুলাই ও আগস্টে দেশে কতজন শহিদ ও আহত হয়েছেন তাদের সংখ্যা প্রকাশ করে স্বাস্থ্যবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্যসচিব এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম।
তিনি জানিয়েছেন, জুলাই বিপ্লবে শহিদের সংখ্যা ১৪২৩ জন। তবে এই সংখ্যাটা কমবেশি হতে পারে। আমরা একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা খুব দ্রুত করতে সক্ষম হব। আহতদের নিয়ে কাজ করাটা খুব দুরূহ। কারণ এই সংখ্যাটা বিপুল। আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত ২২ হাজার আহত মানুষের তালিকা আছে। তবে এর সঙ্গে সংযোজন-বিয়োজন হবে।
এই সমন্বয়ক আরও জানান, আন্দোলনে গিয়ে পঙ্গু বা অঙ্গহানি হয়েছে এমন মানুষের সংখ্যা ৫৮৭ জন। গুলি লেগে আংশিক বা সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন ৬৮৫ জন। তাদের মধ্যে ৯২ জন দুই চোখেই গুলি খেয়েছেন বা দুই চোখই নষ্ট হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন