অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে সংশোধনী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাস করার দাবি জানিয়েছে যুবকরা। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় উন্নয়নমূলক সংস্থা ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দ্য রুরাল পুয়র (ডর্প)-এর কার্যালয়ে ‘তামাকবিরোধী ক্যাম্পেইনে শিক্ষার্থীদের নিয়ে অ্যাডভোকেসি’-বিষয়ক দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এমন দাবি জানিয়েছেন যুবকরা। কর্মশালার প্রশিক্ষক সিটিএফকে বাংলাদেশের প্রোগ্রামস ম্যানেজার আব্দুস সালাম মিয়া বলেন, যুবদের দাবি অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে সংশোধনী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাস করা। বর্তমানে আমাদের দেশের তামাকপণ্য ৪ ধরনের কর কাঠামো আছে। তামাকপণ্য ভোক্তাদের প্রায় ৭৫ শতাংশ লোক নিম্নস্তরের সিগারেট সেবন করেন। নিম্ন আয়ের মানুষরা নিম্নস্তরের সিগারেটের প্রধান গ্রাহক। তারা আয়ের ৪ ভাগের ১ ভাগ সিগারেট সেবনের পেছনে ব্যয় করেন। তিনি আরও বলেন, নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম বাড়িয়ে দিলে এই ৭৫ শতাংশ ভোক্তার কাছে সিগারেট ক্রয়ক্ষমতা বাইরে চলে যাবে। ক্রয়ক্ষমতার বাইরে যদি সিগারেট চলে যায় তবে সিগারেট গ্রহণের হার কমবে। তামাক পণ্য নিয়ন্ত্রণে সংস্থাটি এই কর্মশালায় তাদের ৬টি প্রস্তাবনার কথা উল্লেখ করেন।
তাদের প্রস্তাবনাগুলো হলো : তামাকপণ্যের খুচরা বিক্রি নিষিদ্ধ করা, তামাক পণ্যের প্রচার বন্ধ করার জন্য বিক্রয় কেন্দ্রে তামাক পণ্যের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেট, ইমার্জিং হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট আমদানি, উৎপাদন, ব্যবহার ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা, তামাক পণ্যের সকল প্রকার খুচরা ও খোলা বিক্রয় বন্ধ করা এবং সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কতার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা। দিনব্যাপী এই কর্মশালায় সংস্থাটি তামাক কর কাঠামো, তামাক কর ও মূল্য বাড়ানোর সুবিধা, তামাক নিয়ন্ত্রণের উপায়সহ তামাক সেবনের ক্ষতিকারক দিকগুলো তুলে ধরেন শিক্ষার্থীদের মাঝে। সাত দিনব্যাপী এই কর্মশালার ৫ম দিনে ঢাকার বিভিন্ন স্কুল কলেজের ২৫ জন শিক্ষার্থী এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করে।
মন্তব্য করুন