কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৭ এএম
আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০৭ এএম
অনলাইন সংস্করণ

সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তথ্যের অধিকার নিশ্চিতের বিকল্প নেই : রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পুরোনো ছবি
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পুরোনো ছবি

জনগণের ক্ষমতায়ন, সরকারি দপ্তরে স্বচ্ছতা-জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় জনগণের তথ্যের অধিকার নিশ্চিতকরণের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতকরণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস-২০২৪’ উদযাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। - খবর বাসস

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘তথ্য জানা ও প্রাপ্তি মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। তথ্য মানুষকে সচেতন করে ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ নং অনুচ্ছেদে জনগণের চিন্তা, বিবেক ও বাকস্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। তথ্যের অবাধ প্রবাহ ও জনগণের তথ্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রণীত হয়েছে ‘তথ্য অধিকার আইন-২০০৯’ যা জনগণের তথ্য প্রাপ্তির অধিকারকে আইনি ভিত্তি প্রদান করে। আমি মনে করি, এ আইনের মাধ্যমে সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ এবং সরকারি ও বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের পাশাপাশি সুশাসন প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়েছে।’

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, তথ্যের অবাধ, সঠিক ও সময়োচিত প্রকাশ একদিকে যেমন জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে; অন্যদিকে সুশাসন নিশ্চিত হবে, জনগণ ও রাষ্ট্রের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক সমুন্নত থাকবে। সমাজ ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর জনগণের ক্ষমতায়নকে সুদৃঢ় করার মাধ্যমে নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় তথ্যের অবাধ প্রবাহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ প্রেক্ষিতে ইউনেস্কো নির্ধারিত আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবসের এবছরের প্রতিপাদ্য- ‘রাষ্ট্রের মূলধারায় তথ্য অধিকারের সংযুক্তি এবং সরকারি খাতের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ’ যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।

তিনি বলেন, তথ্য অধিকার আইনের সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে তথ্য কমিশনসহ সরকারি-বেসরকারি সকল দপ্তর ও সংস্থাকে আরো উদ্যোগী মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য জনগণকে তথ্যের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট-মিডিয়া, নাগরিক সমাজসহ সকলের অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।

সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণের মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর জনগণের ক্ষমতায়ন সুদৃঢ় হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফিফার নিষেধাজ্ঞায় দুই ম্যাচের জন্য মাঠের বাইরে মার্তিনেজ

স্কুলে ভোজপুরী গানে উদ্দাম নাচ, ভিডিও ভাইরাল

দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন ড. ইউনূস

বাড়ছে তিস্তার পানি, বন্যার আশঙ্কা

বৃষ্টিতে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু হতে বিলম্ব

চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রদলের ওপর হামলার অভিযোগ মিথ্যা : শিবির

মালদ্বীপের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ : প্রধান উপদেষ্টা

ইন্দোনেশিয়ায় সোনার খনি ধসে নিহত ১৫

লুডু খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে কিশোরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

নিয়োগ দিচ্ছে কারিতাস বাংলাদেশ, বেতন ৭০ হাজার

১০

চৌদ্দগ্রামে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার 

১১

আজ কী ঘটতে যাচ্ছে আপনার সঙ্গে?

১২

রাজবাড়ীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

১৩

শেখ হাসিনার ৭৮তম জন্মদিন আজ

১৪

বাড়তে পারে জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্য, আলোচনায় ভারতসহ ৬ দেশ

১৫

সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তথ্যের অধিকার নিশ্চিতের বিকল্প নেই : রাষ্ট্রপতি

১৬

ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১

১৭

ইতিহাসের এই দিনে আলোচিত যত ঘটনা

১৮

শনিবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

১৯

টিভিতে আজকের খেলা

২০
X