ইউসুফ আরেফিন, জাতিসংঘের সদর দপ্তর, নিউইয়র্ক থেকে
প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৯ পিএম
আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে ভাষণ দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : স্ক্রিনশট
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে ভাষণ দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : স্ক্রিনশট

ভাষণে জাতিগত নিধনের শিকার জোরপূর্বক বিতাড়িত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের তাদের মাতৃভূমিতে টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পর্যাপ্ত সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

শুক্রবার (সেপ্টেম্বর ২৭) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সহায়তা করতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালু রাখা এবং তাদের টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পর্যাপ্ত সহায়তা অব্যাহত চাই।

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চেয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সংঘটিত হওয়া ব্যাপকভিত্তিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালত এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে চলমান বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে করে নিজ দেশে স্বাধীন এবং মর্যাদাপূর্ণ জীবনধারণ করতে পারে, সে লক্ষ্যে অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের ধারাবাহিক প্রচেষ্টা প্রশংসার দাবিদার। এ লক্ষ্যে রোহিঙ্গারা যাতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করে তাদের নিজ ভূমি রাখাইনে ফিরে যেতে পারে, তার পথ সুগম করা দরকার।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, মিয়ানমারে প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল অবস্থা বিবেচনায় রেখে, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে একযোগে রোহিঙ্গারা নিজ দেশে মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য পরিবেশ সৃষ্টিতে কাজ করতে প্রস্তুত।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশ গত সাত বছর যাবৎ মায়ানমার থেকে আসা ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়ে আসছে। এর ফলে, আমরা বিশাল সামাজিক-অর্থনৈতিক-পরিবেশগত ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। মায়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা থেকে সৃষ্ট এই সংকট বাংলাদেশ ও আমাদের অঞ্চলের জন্য প্রথাগত এবং অপ্রথাগত উভয় ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বায়ুদূষণের শীর্ষে লাহোর, ঢাকার অবস্থান কত

আ.লীগ নেতা ডন গ্রেপ্তার

আজ সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ বন্ধ

আমরা কি মানুষ নই? বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২০

সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই

নতুন সিইসি ও কমিশনারদের শপথ দুপুরে

কক্সবাজারে লরির ধাক্কায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

গ্রিন টি নাকি রং চা, স্বাস্থ্যর জন্য কোনটি ভালো?

নিয়োগ পেয়েই অনুপস্থিত ১১ মাস

যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না আজ

১০

টিভিতে আজ যেসব খেলা দেখা যাবে

১১

কেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া

১২

২৪ নভেম্বর : ইতিহাসের আজকের এই দিনে

১৩

যুবলীগ নেতা সম্রাটের সহযোগী মাহিন গ্রেপ্তার

১৪

কুবিতে নৈশপ্রহরী ও কর্মচারীদের শীতবস্ত্র উপহার ছাত্রশিবিরের

১৫

২৪ নভেম্বর: আজকের নামাজের সময়সূচি

১৬

রোববার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১৭

নারীসহ সিলেটের সাবেক আলোচিত কাউন্সিলর লায়েক গ্রেপ্তার

১৮

ফরিদপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম গ্রেপ্তার

১৯

কেন্দুয়ায় মামার হাতে ভাগ্নে খুন

২০
X