ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন ৩০০ জন স্বেচ্ছাসেবী। এ ছাড়া আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার প্রকল্পের আওতাধীন ১২০ জন স্বাস্থ্যকর্মী ডেঙ্গু প্রতিরোধে ডিএনসিসির সচেতনতা কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) থেকে এসব সেচ্ছাসেবীরা কাজ শুরু করেন। তারা বস্তি এলাকায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরি ও ডেঙ্গু রোগী খুঁজে বের করতে বাড়ি বাড়ি পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
সেচ্ছাসেবীরা ডিএনসিসির অঞ্চল ২, ৩, ৪ ও ৫ এর অন্তর্গত ১৩টি ওয়ার্ডে ঘনবসতিপূর্ণ ১৮টি বস্তি এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে বস্তিবাসীদের সচেতন করেন। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় সংবলিত লিফলেট বিতরণ করেন তারা। এছাড়াও ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর তথ্যও সংগ্রহ করেন।
এই বিষয়ে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, ‘প্রতিজন স্বেচ্ছাসেবী তার নির্ধারিত এলাকার ২০০টি বাড়ি পরিদর্শন করছেন। প্রতিদিন মোট ৬ হাজার বাড়ি পরিদর্শন করা হচ্ছে। ৩৩ জন সুপারভাইজার স্বেচ্ছাসেবীদের এই কার্যক্রম তদারকি করছেন।
এ ছাড়াও আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার প্রকল্পের আওতাধীন ১২০ জন স্বাস্থ্যকর্মী তার নিজ নিজ এলাকায় বাড়িতে গিয়ে ডেঙ্গু সচেতনতা সৃষ্টি এবং ডেঙ্গু রোগীর সন্ধান করছে। স্বেচ্ছাসেবীদের এই কার্যক্রম ডেঙ্গু প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’
ডিএনসিসির প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনার বিষয়ে ৬০ জন চিকিৎসক ও ৩০ জন নার্সকে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
গত ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বনানীতে একটি হোটেলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এবং ইউনিসেফের যৌথ উদ্যোগে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন শহীদ সোহরওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাজমুল আহসান ও মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু রোগ বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আবু সাঈদ মোহাম্মদ শিমুল।
প্রশিক্ষকরা প্রশিক্ষণে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ, বিপদজনক চিহ্ন শনাক্ত করা, বাড়িতে রেখে রোগীর চিকিৎসা কার্যক্রম, রোগীর তদারকি, রিপোর্টিং সম্পর্কে ধারণা দেন। এ ছাড়া অন্তঃসত্ত্বা মা, বয়স্ক ব্যক্তি এবং যাদের দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা রয়েছে তাদের দ্রুত ডেঙ্গু জ্বর শনাক্ত করা এবং জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে ভর্তি/অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন।
প্রশিক্ষণের বিষয়ে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, ‘প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের ফলে চিকিৎসকরা ডিএনসিসি এলাকায় বসবাসরত জনসাধারণ বিশেষ করে মা ও শিশুদের ডেঙ্গু জ্বর শনাক্ত করা ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া এবং জটিলতা চিহ্নিত করার মাধ্যমে রেফারাল সেবা সঠিকভাবে দিতে পারবেন।’
মন্তব্য করুন