আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে। আমি তাকে জানিয়েছি, ‘সুষ্ঠু, অবাধ ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন করার ব্যাপারে জনগণের কাছে শেখ হাসিনা সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ’।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারেক রহমানের সাজার বিষয়ে হাইকমিশনারের সঙ্গে কোনো আলাপ হয়নি। তাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তথ্যমন্ত্রী যেহেতু গণমাধ্যমে কথা বলেছেন, তাই এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরে জানাব।
তিনি বলেন, এটি একটি রুটিন সাক্ষাৎ ছিল। বাংলাদেশের উন্নয়নের বিষয়ে তার সঙ্গে কথা হয়েছে। সারাহ কুক বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতার দিকে তিনি লক্ষ্য রাখবেন।
সাক্ষাতে ব্রিটিশ হাইকমিশনের গভর্ন্যান্স উপদেষ্টা রফিকুজ্জামান, ব্রিটিশ হাইকমিশনের দ্বিতীয় সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) ভেনেসা বিউমন্ট উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে একই দিন সকালে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। বৈঠক শেষে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত নেবে। বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নেই। কোনো বিশেষ দলকে নয়, বরং গণতন্ত্রকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন : তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আজ যা বললেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত
তারা সুস্থ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যাশা করেন। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি।
বৈঠকে যোগ দিতে সকালে কার্যালয়ে উপস্থিত হন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ ফারুক খান, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমদ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ ও কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
গত ১ আগস্ট প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে জানা যায়, নির্বাচনের পরিবেশ দেখতে আগামী অক্টোবরে বাংলাদেশে আসবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রি-অ্যাসেসমেন্ট টিম।
মন্তব্য করুন