বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউয়নিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব) এর প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান।
নেতৃদ্বয় বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এক শোকবার্তায় বলেন, সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী ছিলেন একজন মহৎপ্রাণ ব্যক্তি। মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে তার বলিষ্ঠ ও সাহসী ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী মরহুম রুহুল আমিন গাজী বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার মহান ব্রতকে সামনে রেখে যেভাবে নিরলসভাবে কাজ করেছেন, সেটি তার সতীর্থ সাংবাদিকরা চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে অনুসরণ করবেন বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
তারা আরও বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সোচ্চার। এমনকি একাধিকবার কারাবরণও করেছেন। জেল-জুলুম সহ্য করেও মানুষের বাক, ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে তার সাহসী উচ্চারণ দেশের জনগণের প্রশংসিত হয়েছিল।
এ ছাড়া তারা বলেন, বারবার ফ্যাসিস্ট সরকারের রোষানলের শিকার হয়েও রুহুল আমিন গাজী গণতন্ত্রের পক্ষে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে দ্বিধা করেননি। কর্মজীবনে অগণতান্ত্রিক শক্তির হুমকির মুখেও তিনি দায়িত্ব পালনে ছিলেন অবিচল।
তা ছাড়া সাংবাদিকতা জগতে তার অবদান নিঃসন্দেহে অনস্বীকার্য উল্লেখ করে তারা বলেন, তার মৃত্যু গণতন্ত্রকামী মানুষের হৃদয়ে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করল, যা সহজে পূরণ হবার নয়। মহান আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করি তিনি যেন তাকে বেহেস্তবাসী করেন। আমরা রুহুল আমিন গাজীর রুহের মাগফিরাত কামনা করি এবং শোকাহত পরিবারবর্গ, আত্মীয়স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন