জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলায় শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার পেছনে প্রকৃত দায়ী ব্যক্তিদের যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে শনাক্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারকে ৬ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এক বিবৃতিতে ‘দীঘিনালায় পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর দোকান, বাড়িঘরে আগুন’-এর ঘটনায় এ দাবি জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ঘটনাগুলোয় হতাহতের খবরসহ ঘরবাড়ি ও দোকানপাট জ্বালিয়ে দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অপ্রীতিকর এ পরিস্থিতি দ্রুততার সঙ্গে স্বাভাবিক করার জোরালো প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা সমীচীন বলে কমিশন মনে করে। এ ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমটো) গ্রহণ করেছে।
এ মাসের ১৯ সেপ্টেম্বর বিকেল পাঁচটার দিকে লারমা স্কয়ার এলাকায় পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্র জানায়, খাগড়াছড়ি শহরের নোয়াপাড়া এলাকায় বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভোরে মোহাম্মদ মামুন (৩০) নামের এক ব্যক্তিকে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে মারধর করা হয়।
গুরুতর আহত অবস্থায় পরে তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার সূত্র ধরে ঐদিন বিকেল পাঁচটার দিকে দীঘিনালায় বিক্ষোভ মিছিল বের করেন বাঙালিরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, পাঁচটার দিকে ৩০০ থেকে ৪০০ বাঙালি জামতলি ও বোয়ালখালী বাজারের দিক থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। তারা লারমা স্কয়ারের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
এ সময় পাহাড়িরা বাধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এতে অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে লারমা স্কয়ার ও দীঘিনালা কলেজের পাশের প্রায় ৩৭টি ঘরবাড়ি ও দোকানপাট জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন