রাজধানীর ডেমরায় ছাত্র-জনতার ‘কেমন বাংলাদেশ চাই’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় আমতলা শহীদ স্মৃতি মিলনায়তনে ডেমরা-যাত্রাবাড়ী-কদমতলী থানার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আয়োজনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদের পক্ষে তাদের পরিবারের সদস্য, আহত, কারাবন্দি ও স্বাধীনতাপরবর্তী বাংলাদেশের সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করা শিক্ষার্থীদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। সভায় গত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর ডেমরা-যাত্রাবাড়ী-কদমতলী থানা এলাকায় আহত এবং শহীদ সব ছাত্রের ঘটনা তুলে ধরে আলোচনা করা হয়েছে।
এদিকে সভায় শহীদ ছাত্রদের বাবা-মা ও আহত ছাত্রদের হৃদয়বিদারক ঘটনা শুনে উপস্থিত সবাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
সভায় বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছরের স্বৈরাচার সরকার শেখ হাসিনার পতনের পর গত ৫ আগস্ট নতুনভাবে বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও কতিপয় সন্ত্রাসী নতুন করে সমাজে অন্যায়-অবিচার প্রতিষ্ঠা করছে। তাই ছাত্র-জনতাসহ সবার ঐক্যবদ্ধতায় এ দেশ থেকে সামাজিক অন্যায়-অবিচার নির্মূল করে ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে এখনই। আর গত ৫২ বছর ধরে রাজনৈতিক নেতারা বাংলাদেশে ও এ দেশের মানুষের সঙ্গে যে প্রতারণা করেছ তা অবসান করার সময় এখন এসেছে।
ডিএসসিসির ৬৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী ইব্রাহিম খলিলের সভাপতিত্বে গ্রিন ইউনিভার্সিটি সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম যোগাযোগ বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার ব্যক্তিগত সচিব শরিফুল ইসলাম।
আরও উপস্থিত ছিলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নাজমুল হাসান, অ্যাডভোকেট মনির হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিভিত্তিক সংগঠন বোঝাপড়ার সমন্বয়ক এমএম শোয়াইবসহ ডেমরা-যাত্রাবাড়ী ও কদমতলী থানা এলাকার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, লেখক,সাংবাদিক, আইনজীবী ও স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে ভূমিকা রাখার জনপ্রতিনিধিসহ নতুন বাংলাদেশ গড়ার বিপ্লবী যোদ্ধা তরুণ-তরুণীরা।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার ব্যক্তিগত সচিব শরিফুল ইসলামকে উদ্দেশ করে কাউন্সিলর ইব্রাহিম খলিল বলেন, শহীদ পরিবারের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়াও আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।
মন্তব্য করুন