পার্বত্য তিন জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানে ‘সিএইচটি ব্লকেড’ নামে সড়ক ও নৌপথ অবরোধ চলছে। ৭২ ঘণ্টার এই অবরোধের শুরুতেই তিন জেলায় দূরপাল্লার কোনো যানবাহন চলছে না।
পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষের জেরে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে ৪ জন নিহত, অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে এবং দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দাবিতে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ‘বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র–জনতার’ ব্যানারে ৭২ ঘণ্টার এই অবরোধের ডাক দেওয়া হয়।
এদিকে রাঙামাটিতে সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে মালিক সমিতি। গতকাল রাঙামাটিতে বাস, ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা পুড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে এই ধর্মঘট ডেকেছেন তারা।
জিপ মালিক সমিতির সভাপতি নির্নিমেষ দেওয়ান বলেন, কোনো গাড়ি আজ থেকে চলবে না।
রাঙামাটি সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমদের শ্রমিকদের কী আপরাধ ছিল। যানবাহনে কেন ক্ষতি করা হলো। সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাঙামাটিতে সব ধরনের পরিবহনের ধর্মঘট ঘোষণা করছি। সুষ্ঠু সমাধান ও ক্ষতিপূরণ না পাওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।
গত বুধবার খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি ও বাঙালি সংঘাতের রেশ গতকাল পার্শ্ববর্তী জেলা রাঙামাটিতেও ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ-সহিংসতায় পার্বত্য এই দুই জেলায় ৪ জন নিহত এবং অন্তত ৮০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গতকাল দুই জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
মন্তব্য করুন