নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে মানবসম্পদ উন্নয়নে পৃথক মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা, বিদেশি দূতাবাসগুলোতে এইচআর পেশাজীবী নিয়োগসহ বিভিন্ন সুপারিশ প্রদান করেছে বাংলাদেশ সোসাইটি ফর হিউম্যান রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট (বিএসএইচআরএম)।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব সুপারিশ উঠে আসে।
বক্তব্যে বিএসএইচআরএমের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মাশেকুর রহমান খান বলেন, আজকের বাংলাদেশের জরুরি সমস্যার একটি হলো বেকারত্ব। দেশের যুব বেকারত্ব প্রায় ১০ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে, টেকসই বৃদ্ধি এবং উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি হলো জনগণের সম্ভাবনাকে দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে উন্মুক্ত করা।
শুধু শিক্ষা যথেষ্ট নয়- আমাদের কর্মক্ষেত্রকে বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা এবং জ্ঞান দিয়ে প্রস্তুত করতে হবে। বিএসএইচআরএম বিশ্বাস করে, মানবসম্পদ পেশাজীবীরা এই রূপান্তরের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
মানবসম্পদ উন্নয়নে বিএসএইচআরএমের সুপারিশগুলো হলো-
১. বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো একটি মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা।
২. জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কার্যক্রমের সঙ্গে বিএসএইচআরএমসহ মানবসম্পদ উন্নয়ন পেশাজীবীদের সম্পৃক্ত করা।
৩. কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করা ও ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কার্যকর সংযোগ স্থাপন।
৪. জরুরি ভিত্তিতে ফ্যাসিস্ট সরকারের দ্বারা ধ্বংস করা শিক্ষাব্যবস্থাকে টেকসই, জনবান্ধব এবং মেধাভিত্তিক করতে একটি স্থায়ী শিক্ষা কমিশন গঠন করা এবং একজন অভিজ্ঞ ও দেশপ্রেমিক শিক্ষাবিদকে দায়িত্ব প্রদান।
৫. বিদেশি দূতাবাসগুলোতে মানবসম্পদ পেশাজীবী নিয়োগ করা।
৬. বিএসএইচআরএমের গ্লোবাল কানেক্টিভিটি সরকার কর্তৃক কাজে লাগানো।
মন্তব্য করুন