আশ্বিনের শুরুতেও দেশের ৫৬ জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ বইছে, যা আগামী কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, তাপমাত্রা আপতত ২-৩ দিন কমবে না। বরং শুক্রবার তাপমাত্রা আরেকটু বাড়তে পারে, অধিকাংশ জেলায় দাবদাহ বিস্তার লাভ করবে।
তবে আগামী মঙ্গলবারের পর সারা দেশে বৃষ্টি হওয়ার আভাস রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাঙ্গামাটি, ফেনী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাসহ রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বৃহস্পতিবার সিলেটে দেশের সর্বোচ্চ ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে বলা হয় মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির ওপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বৃষ্টি হতে পারে। বর্ধিত পাঁচদিনের পূর্বাভাসে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে।
সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, মধ্য প্রদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে লঘুচাপে রূপ নিয়ে মৌসুমি অক্ষের সাথে মিলিত হয়েছে।
মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টি ঝরেছে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে। এ ছাড়া নোয়াখালীর মাইজদীকোর্টে ৪৫, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
মন্তব্য করুন