ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের স্বার্থ ও অস্তিত্ব রক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে পেশ করা আট দফা দাবি অনতিবিলম্বে বাস্তবায়ন চায় বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ঐক্য পরিষদের সভাপতি নির্মল রোজারিও এ দাবি জানান।
গত মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এই আট দফা দাবি পেশ করে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আট দফা বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ তারা দেখতে পায়নি।
আট দফা দাবিগুলো হলো- এক. সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা হোক। দুই. জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন ও সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন করা হোক। তিন. অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনের যথাযথ প্রয়োগে যাবতীয় আমলাতান্ত্রিক বাধা অপসারণ করে ট্রাইব্যুনালের রায়ের আলোকে জমির মালিকানা ও দখল ভুক্তভোগীদের বরাবরে অনতিবিলম্বে প্রত্যর্পণ করা হোক। চার. জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে সরকারে, সংসদে, জনপ্রতিনিধিত্বশীল সকল সংস্থায় অংশীদারত্ব ও প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হোক। পাঁচ. দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণে আইন প্রণয়ন করা হোক (ইতোমধ্যে খসড়া বিল চূড়ান্তকৃত) । ছয়. বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন করা হোক (ইতোমধ্যে খসড়া বিল চূড়ান্তকৃত) । সাত. পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়ন এবং তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইনে যথাযথভাবে কার্যকর করা হোক। আট. হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গাপূজায় অষ্টমী থেকে দশমী পর্যন্ত তিন দিন, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রবারণা পূর্ণিমায় একদিন এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ইস্টার সানডেতে একদিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হোক।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আরেক সভাপতি ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রঞ্জন কর্মকার, ভিক্ষু সুনন্দ প্রিয়, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট দীপঙ্কর ঘোষ প্রমুখ নেতারা।
মন্তব্য করুন