বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে সম্প্রচার করার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালককে (ডিজি) চিঠি পাঠিয়েছে তথ্য অধিদপ্তর। এতে স্বাক্ষর করেন প্রধান তথ্য অফিসার মো. নিজামুল কবীর।
চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ টেলিভিশনের দুপুর ২টার সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে সম্প্রচার করার প্রয়োজন নেই বলে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করা হলো।
এদিকে তথ্য উপদেষ্টা বলেছেন, কবি, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের মধ্যে যারা গণহত্যায় উসকানি দিয়েছেন তাদেরও বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হবে। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভা শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, প্রেস ক্লাব ও সচিবালয় সাংবাদিক ফোরামের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি বলেছি, যদি কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ থাকে বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয় থাকে, তথ্য মন্ত্রণালয়ের তার বিষয়ে বিস্তারিত পাঠাবেন। আমরা দেখব। যারা ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, বৈধতা উৎপাদনে কাজ করেছেন লেখনী ও মতামতের মাধ্যমে জনমত তৈরি করেছেন, গণহত্যার পক্ষে কাজ করেছেন, উসকানি দিয়েছেন, তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে।
গণহত্যার মামলার বিষয়ে নাহিদ বলেন, মামলাগুলো সরকার করছে না, জনগণের জায়গা থেকে করা হচ্ছে। ব্যক্তিগত শত্রুতার জায়গা থেকেও করা হচ্ছে। সেই জায়গা থেকে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি এবং আশ্বস্ত করেছি, এই মামলাগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে পর্যালোচনা করা হবে।
এ সময় সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঠিক হয়ে যায়, জননিরাপত্তা যাতে নিশ্চিত হয়। এজন্য সেনাবাহিনীকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুজব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা ফ্যাক্টচেকিং নিয়ে বিভিন্ন অংশীজন ও মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলছি। কীভাবে ফ্যাক্টচেকিং বিষয়টি আরও শক্তিশালী করা যায়, সেটা নিয়ে ভাবছি।
মন্তব্য করুন