পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ইনস্টিটিউট অব হজরত মুহাম্মদ (সা.) কতৃর্ক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ও সুবিধাবঞ্চিত তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের নিয়ে বিশেষ সম্মাননা অনুষ্ঠান হয়েছে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বনানীস্থ শেরাটন হোটেলে পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান হয়। ৭টি ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত এবারের প্রতিযোগিতায় ২১ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস উপলক্ষে ইনস্টিটিউট অব হজরত মোহাম্মদ (সা.) মাসব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। যার মধ্যে রয়েছে পবিত্র কোরআনের তাফসির আলোচনা, মিলাদ মাহফিল, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এবং তৃতীয় লিঙ্গ ছাত্রছাত্রীদের জন্য দেশব্যাপী প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন, নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রলায়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনেরাল (অব.) ডি এম শাখাওাত হোসেন। বিশেষ অথিতিদের মধ্যে ছিলেন মনসুর চাভোশি, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের রাষ্ট্রদূত; সৈয়দ আহমেদ মারুফ, পাকিস্তানের হাই কমিশনার; হাজি হারিস বিন ওসমান, ব্রুনাই দারুসসালামের হাই কমিশনার; মো. আসাদুজ্জামান, বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল; জাকিউল ইসলাম, এমডি, নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লি.; নিয়াজ রহিম, চেয়ারম্যান, জাকাত ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র; শেখ আব্দুল লতিফ আল কাদি আল মাদানী, ইনস্টিটিউট অব হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর প্রধান উপদেষ্টা এবং রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নান।
উল্লেখ্য, ইনস্টিটিউট বিগত ২০০৪ সাল থেকে জাকাত তহবিলের মাধ্যমে বিনামূল্যে শারীরিক ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য বিভিন্ন ভাষা শিক্ষা, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, ব্রেইল ও ইন্টারনেট প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে এবং প্রতি বছর পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। ইনস্টিটিটিউট এবার দ্বিতীয়বারের মতো সমাজের সব চেয়ে অবহেলিত তৃতীয় লিঙ্গ জনগোষ্ঠীকে কোরআন ও সুন্নাহর আলোয় উজ্জিবিত করার লক্ষ্যে প্রতিযোগিতায় যুক্ত করে।
সারা দেশের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এবং তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বয়স ভেদে কোরআন তেলাওয়াত, হামদ ও নাত-এ রাসুল (সা.), কম্পিউটার ট্রেনিং, আইটি এবং বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। প্রতিয়োগিতার মূল উদ্দেশ্য ছিল মানবাধিকারের ব্যাপারে মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) এর আদর্শ তুলে ধরা। সুবিধাবঞ্চিত এই শিক্ষার্থীদের প্রতিভা ও দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ সৃষ্টি করাও ছিল এই প্রতিযোগিতার আরও একটি উদ্দেশ্য।
প্রধান অতিথি প্রায় দুই দশক সময় ধরে ইনস্টিটিউটের মহৎ কার্যক্রম ও সামাজিক দায়িত্ব পালন ও সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশে ইনস্টিটিউটের দীর্ঘ পথ পরিক্রমার উচ্ছ্বসিত ও ভূয়ষি প্রশংসা করেন।
বিশেষ অতিথিরা বলেন, সমাজের অবহেলিত এই অংশের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিভা প্রদর্শন এবং সমাজে তাদের প্রয়োজনীয়তা উপলব্দিতে ইনস্টিটিউট অফ হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর প্লাটফর্ম তৈরির উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার। তারা প্রতিযোগীদের প্রতিভা প্রকাশে স্বীয় অধ্যবসায় এবং আত্মনির্ভরশীল করে সমাজে প্রতিষ্ঠা লাভে তাদের নিজেদের যোগ্য করার জন্য এই প্রয়াসেরও প্রশাংসা করেন।
ইনস্টিটিউট অব হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর প্রেসিডেন্ট লে. জেনারেল (অব.) এম নুরুদ্দিন খান, (পিএসসি) শান্তি, সহিষ্ণুতা ও সমতার বিষয়ে রাসুল (সা.)-এর শিক্ষা সম্পর্কে আমদের উপলব্ধি বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানের প্রধান উপদেষ্টা শেখ আবদুল লতিফ আল কাদি আল মাদানি রবিউল আউয়াল মাসের তাৎপর্য নিয়ে মূল্যবান বক্তব্য দেন।
মন্তব্য করুন