কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আন্দোলনে গুলিতে চোখ হারিয়েছেন ৪০১ জন 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে চোখ নষ্ট হয়েছে ৪০১ জনের। ছবি : সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে চোখ নষ্ট হয়েছে ৪০১ জনের। ছবি : সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছররা গুলিতে চোখ হারিয়েছেন ৪০১ জন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এদের মধ্যে দুই চোখেরই দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন ১৯ জন। এক চোখ নষ্ট হয়েছে ৩৮২ জনের। এ ছাড়া দুজনের দুই চোখে ও ৪২ জনের এক চোখে গুরুতর দৃষ্টিস্বল্পতা দেখা দিয়েছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ১৭ জুলাই থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত চোখে আঘাত নিয়ে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন ৮৫৬ জন। তাদের মধ্যে ৭১৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। চোখে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে ৫২০ জনের।

জানা গেছে, গুলিতে দুই চোখের দৃষ্টি হারানোদের মধ্যে শিক্ষার্থী রয়েছেন ছয়জন। বাকিদের মধ্যে শ্রমিক, গাড়িচালক ও চাকরিজীবী দুজন করে রয়েছেন ছয়জন। এদের মধ্যে একজন শিক্ষক রয়েছেন। আর অন্য ছয়জনের পেশাগত পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ও পরবর্তী সময়ে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া ৫৭৯ জনের তথ্য পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে পুরুষ ৫৫৮ জন ও নারী ২১ জন।

ভর্তি হওয়া রোগীদের তথ্য বিশ্লেষণে জানা যায়, চোখে আঘাত বা গুলি নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়াদের ১৫৯ জনই শিক্ষার্থী। এর মধ্যে চাকরিজীবী রয়েছেন ৫৩ জন। এ ছাড়াও শ্রমজীবী ৪৯ জন, ব্যবসায়ী ৩৫ জন, গাড়ি, রিকশা, ভ্যান ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক ২৯ জন, দোকানদার ও দোকানকর্মী ১১ জন, গৃহিণী সাতজন ও মেকানিক রয়েছেন সাতজন। এর বাইরে শিক্ষক ও পুলিশ দুজন করে চারজন এবং একজন চিকিৎসক রয়েছেন। তবে চিকিৎসা নেওয়াদের মধ্যে ২২৪ জনের পেশা কী, তা জানা যায়নি।

এর আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাত শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং ১৯ হাজারেরও বেশি ছাত্র-জনতা আহত হয়েছেন। তবে হতাহতের এই সংখ্যাটিই চূড়ান্ত নয় বলেও জানান তিনি।

আকমল হোসেন আজাদ বলেন, আন্দোলনে আহত ছাত্র ভাইদের মধ্যে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন, তেমন কোনো দায়ভার থাকলে জাতির কাছে আমরা পার পাবো না। সেজন্য আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করছি। আহত ছাত্রদের বিদেশে চিকিৎসার জন্য চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ বিমান বিনামূল্যে টিকিট দিয়েছে। কেউ না দিলেও আমরা ব্যবস্থা করব।

তিনি জানান, কতজন ছাত্র বা জনতা আহত-নিহত হয়েছেন সে ব্যাপারে একটি টাস্কফোর্স বা কমিটি হয়েছে। উচ্চপর্যায়ের একজন সাবেক স্বাস্থ্য সচিবের নেতৃত্বে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা এ সংখ্যাটাটি নিরূপণের জন্য চেষ্টা করছেন। আমাদের ডাটাবেইজ, কমিটির তথ্য ও বিভিন্ন সূত্রের তথ্যে একটি সংখ্যা জানাতে চাই। তবে এটিই চূড়ান্ত নয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হৃদয় কাঁদে জয়ার

যুদ্ধের মোড় ঘোরাতে কতটা কাজে দেবে এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র

চাকরি দেবে আগোরা, সপ্তাহে ২ দিন ছুটি

শীতে জবুথবু কুড়িগ্রাম

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি সত্ত্বেও কৃষি উৎপাদন ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়েছে : রাষ্ট্রদূত

পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক, কী আলোচনা হলো?

‘ভুয়া সংবাদ’ ধরিয়ে দেবে যে টুল

ঈদে আসছে জুয়েলের পিনিক

বায়ু দূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার খবর কী

‘জনগ‌ণের সম্পদ খাওয়া আর জাহান্না‌মের আগুন খাওয়া সমান’

১০

কমছে তাপমাত্রা, শীত জেঁকে বসবে কবে?

১১

‘আ.লীগ নির্বিচারে মানুষ মেরে রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে’

১২

তারেক রহমান সবসময় পাশে আছেন, থাকবেন : মীর হেলাল

১৩

দশ দিনেও মুক্তি মেলেনি ৪ বাংলাদেশির

১৪

আজ টিভিতে যেসব খেলা দেখা যাবে

১৫

ছাত্রদল নেতাকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে

১৬

লেবাননে এক দিনে নিহত ৫৯

১৭

টাইম জোনের ধারণা এসেছে যেভাবে

১৮

সরকারের চাপে বাধ্য হয়ে ওজন কমালেন ৫৪২ কেজি

১৯

উত্তর আফ্রিকার মুসলিম দেশে নজর জিনপিংয়ের

২০
X