প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মন্ট্রিল প্রটোকলের কিগালি সংশোধনীর বিষয়ে অগ্রগামী দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশও বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, মন্ট্রিল প্রটোকলের কিগালি সংশোধনীর মাধ্যমে ওজোন স্তর ক্ষয়কারী দ্রব্যের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত বৈশ্বিক উষ্ণায়নে নেতিবাচক ভূমিকা পালনকারী উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এইচএফসির ব্যবহার পর্যায়ক্রমে হ্রাস এবং শক্তি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি গ্রহণের মাধ্যমে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি-হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
আগামীকাল সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব ওজোন দিবস উপলক্ষে আজ রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিশ্ব ওজোন দিবস পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। বিশ্ব ওজোন দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘করবো ওজোন স্তর সংরক্ষণ, রুখবো জলবায়ু পরিবর্তন’ যা সময়োপযোগী ও প্রশংসার দাবি রাখে।
তিনি বলেন, বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর সূর্য থেকে নিঃসরিত ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি আটকে দিয়ে মানুষ, প্রাণী ও উদ্ভিদ জগৎকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সুরক্ষা দেয়।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, রেফ্রিজারেটর, অ্যারোসল ও ফোম তৈরিসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে ব্যবহৃত কিছু দ্রব্যের কারণে অতি গুরুত্বপূর্ণ ওজোন স্তরে ক্ষয়সাধন ঘটেছে। ওজোন স্তর ক্ষয়কারী এ সব দ্রব্যের ব্যবহার বন্ধে জাতিসংঘের ভিয়েনা কনভেনশনের আওতায় ১৯৮৭ সাল থেকে মন্ট্রিল প্রটোকল বাস্তবায়িত হচ্ছে। ফলে পৃথিবীর সব রাষ্ট্রের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ওজোন স্তর ধীরে ধীরে পুনর্গঠিত হতে শুরু করেছে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এবারের বিশ্ব ওজোন দিবস পালনের মাধ্যমে মন্ট্রিল প্রটোকল বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরার পাশাপাশি ওজোন স্তর রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
প্রধান উপদেষ্টা ‘বিশ্ব ওজোন দিবস ২০২৪’ উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।
মন্তব্য করুন