ঢাকা আশুলিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোলায়মান (১৮) নামে এক পোশাক শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক গিয়াস উদ্দিন কালবেলাকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ছোট ভাই সেলিমকে (১৫) উদ্ধার করতে গিয়ে বড় ভাই সোলাইমানকে (১৮) নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয় কিশোর গ্যাং সদস্যরা। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে আশুলিয়ার ডেন্ডাবর কাঁঠালবাগান এলাকার বালির মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুলায়মান (১৮) নীলফামারীর জেলার ডিমলা থানার দক্ষিণ সুন্দরখাতা গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে। সে আশুলিয়ার ডেন্ডাবর কাঁঠালবাগান কামালের বাড়িতে ভাড়া বাসা থেকে ডেন্ডাবর এলাকার আব্দুল্লাহ আল রাহাত ফেব্রিক্স নামের একটি কারখানায় চাকরি করত।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিহত সুলায়মানের ছোট ভাই সেলিমসহ কয়েকজন মিলে বালু মাঠে খেলাধুলা করছিল। তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সেলিমকে মারধর করে আটকে রাখে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। খবর পেয়ে সেলিমের বড় ভাই সুলাইমান তার ভাইকে উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে গেলে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা তার ওপরও হামলা চালালে গুরুতর আহত হয় সুলাইমান। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
নিহত সুলায়মানের বাবা আব্দুল লতিফ কালবেলাকে বলেন, সন্ধ্যার দিকে ছোট ছেলেকে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা মারধর করে আটকে রেখেছে এমন খবরে আমার বড় ছেলে তাকে উদ্ধার করতে সেখানে যায়। পরে সন্ত্রাসীরা আমার বড় ছেলের ওপরও হামলা করে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও ছেলেকে আর বাঁচাতে পারিনি। আমার ছেলের ওপর হামলা করেছে আরিফ, রিয়ান, সজীব, জীবন, সুহান, রাজন, জিতু, পারভেজ, ইয়াছিন, তামিম, কাউছার, আমিন অপূর্ব ছাড়া আরও কয়েকজন। তারা কোনো কারণ ছাড়াই আমার ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই এবং দোষীদের ফাঁসি চাই।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক গিয়াস উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, নিহত সুলায়মানের মরদেহ ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে পুলিশ। খুব শিগগিরই আসামিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। এঘটনায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন