কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ঠিকাদারের অস্থায়ী কর্মীদের প্রশিক্ষণ অপরিণামদর্শী ও দুরভিসন্ধিমূলক : পবিস 

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোগো। ছবি : সংগৃহীত
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোগো। ছবি : সংগৃহীত

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ঠিকাদারের অস্থায়ী জনবলকে সিস্টেম পরিচালনা ও উপকেন্দ্র নির্মাণসংক্রান্ত প্রশিক্ষণের আয়োজনকে অপরিণামদর্শী ও দুরভিসন্ধিমূলক সিদ্ধান্ত বলে দাবি করেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। শুধু তাই নয়, বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক পল্লী বিদ্যুৎ সিস্টেমের সংস্কারসহ অন্যান্য সমস্যার যৌক্তিক সমাধানের জন্য ০৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হলেও এতে সহযোগিতা না করে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড টালবাহানা করছে বলেও অভিযোগ বৈষম্যবিরোধী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীদের।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব অভিযোগ করা হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১২ সেপ্টেম্বর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড একটি অফিস আদেশ জারি করেন যার স্মারক নং ২৫৩। এতে বলা হয়েছে, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ঠিকাদার/উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠানের জনবলকে উপকেন্দ্র নির্মাণকাজের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং উপকেন্দ্রের পরিচিত করণ বিষয়ে প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে, যা একটি বাস্তবতাবিবর্জিত ও অপরিণামদর্শী পদক্ষেপ।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি, ঠিকাদারের জনবল সাধারণত লাইন নির্মাণসংক্রান্ত কাজ করে থাকেন। উপকেন্দ্র নির্মাণের সঙ্গে তাদের কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই।‌ উপকেন্দ্র নির্মাণকাজের ঠিকাদার আলাদা এবং অভিজ্ঞ জনবল। সমিতিতে বর্তমানে চুক্তিবদ্ধ কোনো উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠান নেই‌।

এমনকি বিগত ৪৭ বছরেও উপকেন্দ্রে এই ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করার কোনো নজির নেই। এছাড়াও ঠিকাদারের শ্রমিকরা যেমন সমিতির নিয়মিত বা চুক্তিভিত্তিক জনবল নয়, তেমনি ঠিকাদাররাও নিয়মিত বা চুক্তিভিত্তিক জনবল নয়। ঠিকাদাররা যখন যাকে পান তাকে দিয়েই কাজ করান। এমনকি এই জনবলের সঙ্গে কাজের বিষয়ে আরইবি বা পবিসের কোনো চুক্তি বা অনুমতিপত্র নেই। ফলে সিস্টেমের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই।

এভাবে বিচ্ছিন্ন জনবলকে সরকারের কেপিআইভুক্ত স্পর্শকাতর একটা সিস্টেম পরিচালনা করার প্রশিক্ষণ দিলে যে কোনো মুহূর্তে বিদ্যুৎ খাতে অস্থিতিশীলতা ও বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। তাছাড়া ঠিকাদারের জনবলকে সাবস্টেশন অপারেশনের প্রশিক্ষণ দিলে ভবিষ্যতে যদি কোনো বিক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে বিদ্যুৎ বিভাগের কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির উদ্রেক ঘটে তখন তারা সাবস্টেশনে প্রবেশ করে বিদ্যুৎব্যবস্থার বিপর্যয় ঘটানোর আশঙ্কা অমূলক নয়। তখন এই দায় কে নেবে?

বিজ্ঞপ্তিতে পবিস কর্মকর্তা কর্মচারীরা বলেন, এই একটি সিদ্ধান্তে বোঝা যায় বিআরইবি কতটা বাস্তবতাবিবর্জিত, অদক্ষ এবং অদূরদর্শী প্রতিষ্ঠান। আরইবির কর্মকর্তাদের বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকায় এমন হঠকারী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে স্পষ্টত প্রতীয়মান।

বিজ্ঞপ্তিতে কর্মকর্তা কর্মচারীরা অভিযোগ করে আরও বলেন, সারাদেশে বর্তমানে ভয়াবহ লোডশেডিং চলছে। মাঠপর্যায়ে সরাসরি গ্রাহক সেবায় নিয়োজিত নয় বিধায় বিআরইবি লোড বরাদ্দের বিষয়ে উদাসীন। লোডশেডিংয়ের ফলে ব্যাপক জনরোষ সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিনিয়ত সমিতির বিভিন্ন অফিসে বিক্ষোভ ও হামলার ঘটনা ঘটছে। এতে সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এমনিতেই জীবনশঙ্কা নিয়ে কর্মক্ষেত্রে অবস্থান করে গ্রাহক সেবা দিচ্ছেন, তদুপরি এই সংকটকালীন সাবস্টেশনে প্রশিক্ষণ আয়োজন করে কৃত্রিমভাবে ফোর্সশেড করলে গ্রাহক অসন্তোষ তীব্র আকার ধারণ করবে এবং যে কোনো মুহূর্তে অপ্রীতিকর ঘটনার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

এমতাবস্থায় আরইবি কর্তৃক পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে জনস্বার্থবিরোধী দপ্তরাদেশ চাপিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপপ্রয়াস বলেই প্রতীয়মান হয়। গ্রাহক সেবার স্বার্থে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সকল অফিস এবং উপকেন্দ্রসমূহে বিশেষ নিরাপত্তার জন্য সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান তারা। ফলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্ম পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিনষ্ট হওয়াসহ বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং গ্রাহকসেবায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হলে তার দায় দায়িত্ব আরইবির ওপর বর্তাবে বলেও হুঁশিয়ারি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এমতাবস্থায় দেশের সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থায় বিদ্যমান সকল বৈষম্য অতিদ্রুত নিরসনের মাধ্যমে সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ নিশ্চিতের লক্ষ্যে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক গঠিত রিফর্ম কমিটির সুপারিশমালা প্রস্তুত এবং বাপবিবো কর্তৃক সকল চুক্তিভিত্তিক/অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিত করণের মাধ্যমে ০২ দফা দাবি বাস্তবায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ অতীব জরুরি বলে মনে করছি। অন্যথায় পরিস্থিতির শিকার হয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পক্ষ থেকে পূর্বাপেক্ষা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা ও বাস্তবায়ন ছাড়া গত্যন্তর থাকবে না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন পবিস কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শান্তদের বিপক্ষে ভারতীয় একাদশ জানালেন গম্ভীর?

মাভাবিপ্রবির নতুন উপাচার্য ঢাবি অধ্যাপক আনোয়ারুল আজীম

শাবিপ্রবির নতুন ভিসি অধ্যাপক ড. এ এম সারওয়ারউদ্দিন চৌধুরী

নরসিংদীর ‘আটগ্রাম ক্রিকেট টুর্নামেন্ট’ এর ফাইনাল খেলা ২১ সেপ্টেম্বর

কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভিসি ঢাবি অধ্যাপক

ইসরায়েলকে ফিলিস্তিন ছাড়তে আলটিমেটাম দেবে জাতিসংঘ

জাবিতে নতুন দুই প্রোভিসি ও ট্রেজারার নিয়োগ 

অনুমতি ছাড়া ঢাবি প্রশাসনের কারও নাম ব্যবহার না করার আহ্বান

নিয়মিত প্রাইভেট কারে গাঁজা পাচার করে তারা

এক্সিকিউটিভ পদে নিয়োগ দিচ্ছে ভিভো

১০

‘জামায়াতের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য গণমানুষের কল্যাণ’

১১

নতুন ভিসি পেল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

১২

‘তুমি না আমার বিরুদ্ধে নিউজ করছো’

১৩

আন্দোলনে ২ হাজার মানুষকে খুন করেছে হাসিনা : মির্জা ফখরুল

১৪

চবির নতুন ভিসি অধ্যাপক ইয়াহইয়া

১৫

জবির নতুন ভিসি ড. মুহাম্মদ রেজাউল

১৬

যেভাবে দেখবেন শান্ত-রোহিতদের লড়াই

১৭

আদালতে যা বললেন বিচারপতি মানিক

১৮

পুলিশ সদস্যের সঙ্গে ‘পালাল’ রোহিঙ্গা কিশোরী

১৯

দুবাই থেকে চট্টগ্রামে ঋণখেলাপি স্বামী-স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ

২০
X