শ্রমিকদের অসন্তোষ ও অভিযোগ জানাতে হেল্পলাইন চালু করেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। টোল ফ্রি এ নম্বরে কল করে শ্রমিকরা তাদের তার অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, শ্রম অসন্তোষ সংক্রান্ত অভিযোগসহ শ্রম সংক্রান্ত সকল প্রকার অভিযোগ জানাতে ডায়াল করুন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের হেল্পলাইন নম্বরে- ১৬৩৫৭ (টোল ফ্রি)।
এদিকে গতকাল বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আরএমজি এবং নন-আরএমজি সেক্টরের শ্রম অসন্তোষ পরিস্থিতি পর্যালোচনায় মতবিনিময় সভা হয়। সভায় শ্রম পরিস্থিতি উন্নয়ন এবং শ্রম অসন্তোষ নিরসনে ‘শ্রম সংক্রান্ত অভিযোগ পর্যবেক্ষণ কমিটি’ গঠনের কথা জানান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তার সভাপতিত্বে সভায় অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, সভায় বেশি কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে কেবিনেট মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল একটি পর্যালোচনা কমিটি বা পর্যবেক্ষণ কমিটি করার। আসলে শ্রমিকদের বিভিন্ন সমস্যা নিরসনে যে কমিটিগুলো আছে, যেমন—শ্রম অধিদপ্তর ও শ্রম আদালত, বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন কারণে সেগুলোর ওপর শ্রমিকরা আস্থা হারিয়েছেন। সেটা ফিরিয়ে আনতে হবে কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে, যা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। আপাতত শ্রমিকরা যে সমস্যাগুলো ফেস করছেন, তাদের দাবিগুলো যাতে নিদিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ফেস করতে পারেন, সে লক্ষ্যে একটি কমিটি করা হয়েছে। আরএমজি এবং নন-আরএমজি সেক্টরের শ্রম অসন্তোষ ও শ্রম পরিস্থিতির বিদ্যমান সমস্যা পর্যালোচনা করে সুপারিশ দেওয়ার জন্য, শ্রম সংক্রান্ত অভিযোগ পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে শ্রম অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক এবং শ্রম অধিদপ্তরের ট্রেড ইউনিয়ন ও সালিশির পরিচালককে সদস্য সচিব করে করা হয়েছে। কমিটিতে তিনজন শ্রমিক নেতা, দুজন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং মালিকপক্ষের দুজন সদস্য আছেন।
তিনি আরও বলেন, বিজয় নগরে আমাদের যে শ্রম ভবন আছে, সেখানে শ্রমিকরা তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া পেশ করতে পারবেন। কমিটি পর্যালোচনা করে সুপারিশ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা সংস্থার কাছে পাঠাবে। শ্রমিকদের যে ন্যায্য দাবিগুলো আছে, সেগুলোর মধ্যে যেটা স্বল্প মেয়াদে বা দ্রুত সমাধানযোগ্য সেটা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন