কিডনি পাচার চক্রের খপ্পরে পড়ে ভারতে গিয়ে ৩ বাংলাদেশির কিডনি হারানোর ঘটনায় অপরাধী শনাক্তপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইউশা রহমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে অপরাধী শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। এ ঘটনায় অভিযোগ গ্রহণ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
বিবৃতিতে বলা হয়, কিডনি পাচারকারী সিন্ডিকেটের সদস্যরা কাজের লোভ দেখিয়ে মেডিকেল ভিসায় বাংলাদেশিদের ভারতে নিয়ে তাদের কিডনি বিক্রি করতে বাধ্য করে। জানা যায়, এই তিন বাংলাদেশির অভিযোগের ভিত্তিতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারার অধীন একটি মামলা করেছে ভারতের পুলিশ। মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে এবং শুনানির প্রস্তুতি চলছে। ভুক্তভোগীরা ইতোমধ্যে দেশে ফিরে এসেছেন। কমিশন মনে করে, কোনো ব্যক্তির শরীর থেকে প্রতারণামূলকভাবে কিডনি কেড়ে নেওয়া মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। উল্লিখিত ঘটনায় ভারতে ইতোমধ্যে মামলা করে চার্জশিটও দাখিল করা হয়েছে। তবে ঘটনাটি একটি সংঘবদ্ধ চক্রের কাজ যেখানে বাংলাদেশিরাও জড়িত থাকতে পারে।
কিডনি পাচার চক্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে কমিশনে প্রতিবেদন প্রেরণ করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে বলা হয়েছে। আগামী ১৫ অক্টোবর প্রতিবেদনের জন্য ধার্য করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন