সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যায় দুর্গত মানুষের আর্থিক সাহায্যে এগিয়ে এসেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৬৯ সালের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সতীর্থ ঊনসত্তর’-এর সদস্যরা। তারা প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে ৫ লাখ টাকা জমা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সংগঠনের মহাসচিব শাহজালাল ফিরোজ ও নির্বাহী সদস্য কে এম এইচ শহিদুল হক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী ও ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের হাতে পাঁচ লাখ টাকার পে-অর্ডার তুলে দেন।
সংগঠনের পক্ষ থেকে মহাসচিব শাহ জালাল ফিরোজ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এই সংগঠনের সভাপতি। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো নৈতিক দায়িত্ব মনে করে সংগঠনের সদস্যরা অনুদান হিসেবে ৫ পাঁচ লাখ টাকা সংগ্রহ করেছে। ৭২ ঊর্ধ্ব বয়সীদের সংগঠনটির সদস্যরা ব্যক্তিগতভাবে এ অর্থ অনুদান দিয়েছে।
এদিকে, ফেনীতে বন্যায় পোলট্রি খাতে খামারিদের ৪০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে জেলা পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন। রোববার (০৮ সেপ্টেম্বর) ফুড গার্ডেন রেস্টুরেন্টে ফেনী জেলা পোলট্রি খামারিদের অবহিতকরণ ও পুনর্বাসনের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অ্যাসোসিয়েশন নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে পোলট্রি মালিক সমিতির নেতারা জানান, সম্প্রতি বন্যায় ফেনী জেলার ৮০ শতাংশ পোলট্রি ফার্ম তলিয়ে গেছে। ২০ ভাগ পোলট্রি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে জেলার পাঁচ হাজার ছোট-বড় পোলট্রি মালিকের প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। এমতাবস্থায় সরকারের সহযোগিতা ছাড়া ফেনীর পোলট্রি শিল্প উৎপাদনে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর পোলট্রি খাতকে নগদ সহযোগিতা করা, চলমান ব্যাংক ঋণের সুদ ও কিস্তি আগামী দুই বছরের জন্য স্থগিত করা, ডিলার ও খামারিদের দুই বছরমেয়াদি সহজ শর্তে সুদবিহীন ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা, খাদ্য ও বাচ্চা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামী এক বছর বিনা লাভে বাচ্চা ও খাদ্য সরবরাহ করা, ওষুধের যৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধি করাসহ নানা দাবি উপস্থাপন করা হয়।
তারা আরও জানান, জেলার পোলট্রি ফার্মগুলো প্রতিদিন ১ লাখ ৫০ হাজার কেজি মাংস উৎপাদন করে। একসময় ফেনীর পোলট্রি শিল্প উৎপাদন দিয়ে ফেনী ছাড়াও পাশের নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম জেলায় চাহিদা পূরণ করা হয়েছে। বর্তমানে পাঁচ হাজার ছোট-বড় খামারি মালিক রয়েছেন, যার মধ্যে অনেকে ব্যাংক লোন নিয়ে ব্যবসা করে আসছিলেন। অনেকে দেউলিয়া হওয়ার পথে রয়েছেন। তাই যথাযথভাবে ক্ষতিগ্রস্ত খামার মালিকের তালিকা অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দাবি জানানো হয়। খামারিরা যেন বেকার না হয়ে পড়েন, এজন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।
মন্তব্য করুন