নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করতে নিজেদের ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততার জল্পনা-কল্পনা দৃঢ়তার সঙ্গে নাকচ করে দিয়েছে দেশটি।
স্থানীয় সময় গত সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) ওয়াশিংটনে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে ডেপুটি প্রিন্সিপালের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এ কথা বলেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার এ সময়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত ও আগ্রহী।’
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ঘটনাবলি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলেও জানান তিনি। তবে তিনি দেশটিতে সাম্প্রতিক বিক্ষোভে বিদেশি প্রভাব সম্পর্কিত দাবির বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন।
ছাত্র বিক্ষোভে চীনের সম্পৃক্ততার অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে প্যাটেল জবাব দেন, ‘আমি শুধু শুধু অনুমান করতে যাচ্ছি না।’
এসময় ক্ষমতাচ্যুত সরকারের ঘনিষ্ঠ মিত্র ভারতের কিছু সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার কথা বলছে- এমন প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে, প্যাটেল বলেন, ‘আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে পারি, এগুলো সত্য নয়। এ কারণেই আমি এগুলো দেখিনি।’
এর আগে গত ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ গ্রহণ শেষে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছিল, তারা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করবে এবং বিভিন্ন ইস্যুতে ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করবে। এ ছাড়াও স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শ্রম, সুশাসন ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে বলেও জানায় দেশটি। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলা হয়, তারা একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছে।
মন্তব্য করুন