কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থী ফারহান ফাইয়াজ হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হত্যা-গণহত্যার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ফারহানের বাবা শহিদুল ইসলাম ভুঁইয়া এ অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযুক্ত অন্যান্য আসামিরা হলেন– ওবায়দুল কাদের, আনিসুল হক, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শেখ ফজলে শামস পরশ, ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ওয়ালী আসিফ ইনান, পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমারসহ ৩৪ জন। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা-গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজধানীর ধানমন্ডিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে ফারহান ফাইয়াজ নামের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়। ফারহান ফাইয়াজ ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০২৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল ফাইয়াজের।
ধানমন্ডিতে মা-বাবার সঙ্গে থাকতেন তিনি। তাদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভার বরপা গ্রামে। ফাইয়াজের বাবা শহিদুল ইসলাম দিশান প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সে কর্মরত। মা ফারহানা দিবা গৃহিণী। ছোট বোন ফারিন ইসলাম উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
ধানমন্ডি ২৭ নম্বর এলাকায় ১৮ জুলাই বিকেল সাড়ে তিনটার পর থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছিল। সে সময় আহত হন ফারহান ফাইয়াজ। সেখান থেকে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মোহাম্মদপুর সিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। তার শরীরে রাবার বুলেটের ক্ষত ছিল।
মন্তব্য করুন