ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) সভাপতি ও জাগো নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের সাবেক ঢাবি প্রতিনিধি আল সাদী ভূঁইয়া এবং স্টাফ রিপোর্টার নাহিদ হাসানের ওপর (নাহিদ সাব্বির) রাজধানীর বঙ্গবাজারের বঙ্গ ইসলামীয়া সুপার মার্কেটে চাঁদাবাজি সিন্ডিকেটের হামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ মো. সজীব ভূঁইয়া।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে আহত দুই সাংবাদিকের খোঁজ নিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে যান এই দুই উপদেষ্টা। এ সময় হামলার ঘটনায় আসামিদের দ্রুত শনাক্ত করে গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনার আশ্বাস দেন তারা।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ছাত্র-জনতা বৈষম্যের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান করেছে। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ঘটনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি গণঅভ্যুত্থান সফল করার পেছনে এক বিরাট ভূমিকা পালন করেছে। সব রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সত্য সংবাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকরা প্রকাশ করে গিয়েছেন। তাদের সহযোগিতা ছাড়া ছাত্র-জনতার এই অভ্যুত্থানে সফলতা পাওয়া কঠিন হয়ে যেত। সাংবাদিকের ওপর এই হামলার ঘটনায় দ্রুতই আসামিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
এর আগে, গত ৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে রাজধানীর বঙ্গ ইসলামীয়া সুপার মার্কেটে সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া এবং জাগো নিউজের স্টাফ রিপোর্টার নাহিদ হাসান কেনাকাটা করতে গেলে মার্কেট মালিকের ছেলে সৈয়দ আসিফুল ইসলাম সজলের সঙ্গে পূর্ব পরিচিত থাকায় সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য মার্কেটের ৪র্থ তলায় তার অফিসে যান। সেখানে আলাপরত অবস্থায় হঠাৎ সজলের সঙ্গে পূর্বশত্রুতার জেরে মার্কেট দখল ও চাঁদাবাজি করতে শাহবাগ থানা বিএনপির ২০নং ওয়ার্ডের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম স্বপন, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর রোকসানা ইসলাম চামেলির স্বামী আবুল হোসেন টাবু ও বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ ইউসুফের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীদের ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি দল লাঠিসোঁটা, রড, জিআই পাইপ, রামদা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গিয়ে অতর্কিত হামলা করে। এসময় আল সাদী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ও নাহিদ নিজেদের ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক পরিচয় দিলেও সজলের ওপর হামলার পাশাপাশি তাদেরও মাথায় ইট, বাঁশ ও পাইপসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে।
একপর্যায়ে তাদের লাথি মেরে মাটিতে ফেলে হাতে থাকা অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা দিয়ে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি মারধর করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তাক্ত জখম করে ও সঙ্গে থাকা ৩টি মোবাইল, নগদ টাকা, জাতীয় পরিচয়পত্র, ৫টি এটিএম কার্ড, অফিস আইডি কপি এবং বাইকের চাবি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। হামলার খবর পেয়ে সাংবাদিক সমিতির অন্যান্য সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এরপর এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় হামলার শিকার আল সাদী ভূঁইয়া বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।