গণভবন হবে ছাত্রজনতার জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতি জাদুঘর। যেখানে থাকবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মৃতি, আরও থাকবে আন্দোলন চলাকালীন নানা নিদর্শন ও ওই সময়ে ঘটে যাওয়া সব কিছু।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) গণভবন পরিদর্শনে এসে এমনটিই জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
শুধু আন্দোলন চলাকালীন সময়ের নানা নিদর্শনই নয় উল্লেখ করে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, গত ১৬ বছরে আওয়ামী সরকারের সময়ে ঘটে যাওয়া সব নির্যাতন নিপীড়নের তথ্যও স্থান পাবে এ জাদুঘরে। এ ছাড়াও শেখ হাসিনা সরকার আমলে গুম হওয়া ব্যক্তিদের তথ্য ও তাদের তালিকা থাকবে।
এর আগে শনিবার বেলা ১১টার দিকে ডাক ও টেলিযোগাযোগবিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান গণভবন পরিদর্শন করেন।
গণভবন পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকালে তারা এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেন।
এ সময় উপদেষ্টারা বলেন, গণভবনকে জাদুঘরে রূপান্তর করা হবে। এ জন্যই প্রাথমিকভাবে আজ আমরা গণভবনের ভেতরের বিভিন্ন বিষয় দেখতে এসেছি।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) গণভবনকে জুলাই অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। জাদুঘরে রূপান্তরের পর সেটি জনগণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
তারও আগে গণভবনকে জাদুঘর বানাতে উপদেষ্টা পরিষদের পঞ্চম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
আসিফ মাহমুদ বলেন, গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ স্মৃতি জাদুঘরে পরিণত করা হবে। সে সময় যেমন ছিল, গণভবনকে সেভাবে রেখেই জাদুঘরটি করা হবে।
তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ কোরিয়াসহ আরও অনেক দেশে এমন মেমোরিয়াল আছে। তাদের থেকে জেনে এ জাদুঘর করা হবে, যেখানে ফ্যাসিবাদী সরকারের কর্মকাণ্ড প্রদর্শন হবে।
মন্তব্য করুন