মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৮ পিএম
আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

গ্রাফিক্স : কালবেলা
গ্রাফিক্স : কালবেলা

দৈনিক কালবেলায় ‘শেয়ার কারসাজির কারিগর ড. মিজান এখনো অধরা’ শিরোনামে ৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ‘হিরোকে শেয়ারবাজারের খলনায়ক বানিয়ে তোলার পেছনে মূল কারিগর যিনি- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।’ আমি কোনো অবস্থাতে কারও খলনায়ক বানানোর কারিগর নই। কীভাবে এই হাস্যকর এবং মানহানিকর অভিযোগ তোলা হলো তা আমার বোধগম্য নয়। খলনায়ক বানানোর কারিগর বলা হলেও এর স্বপক্ষে প্রতিবেদক বস্তুনিষ্ঠ কোনো তথ্য উপস্থাপন করতে পারেননি, যা প্রমাণ করে এটি সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মনগড়া একটি কথা।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘হিরোর সঙ্গে যোগসাজশে শেয়ারবাজার থেকে কোটি কোটি টাকা লোপাট করেছেন তিনি।’ শেয়ারবাজার থেকে কোটি কোটি টাকা আমার দ্বারা কীভাবে লোপাট হয়েছে রিপোর্টে তার পক্ষে কোনো তথ্য উপস্থাপন করা হয়নি। আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য অনভিপ্রেত ও অনাকাঙিক্ষত।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক বিতর্কিত চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামেরও অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন মিজান।’

অনুষদের একজন সহকর্মী হিসেবে এবং আমি বিভাগের চেয়ারম্যান থাকাকালীন তিনি (শিবলী রুবাইয়াতুল) অনুষদের ডিন ছিলেন। এ সময় বিভাগের প্রয়োজনে তার সঙ্গে আমার স্বাভাবিক সম্পর্ক ছিল। এর বাইরে কোনো ধরনের সম্পর্কের প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। রিপোর্টে আরও বলা হয়, ‘বিএসইসির চেয়ারম্যান যেসব অপকর্ম করেছেন, তার বেশিরভাগের ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছিলেন হিরো ও মিজান।’

বিএসইসির কোনো ব্যক্তি যদি কোনো অপকর্মের সঙ্গে লিপ্ত থাকেন তাহলে তার মাস্টারমাইন্ড আমি কীভাবে হই তা আমার বোধগম্য নয়। বিএসইসির প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনো পদে আসীন না হয়ে মাস্টারমাইন্ড খেতাব প্রদান করা চরম হাস্যকর, অত্যন্ত অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য।

রিপোর্টে এক জায়গায় আমাকে ইঙ্গিত করে বলা হয়েছে, ‘ভোল পাল্টে এখন নতুন প্রেক্ষাপটে মিশে যাওয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছেন তিনি।’ আমি কখনো কোনো অবস্থাতে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম না। আমি বরং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থি’ সাদা দলের সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত সিন্ডিকেট সদস্য ছাড়াও সাদা দল থেকে নির্বাচিত সিনেট সদস্য ছিলাম। তাছাড়া ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের দুইবার (চার বছরের জন্য) সাদা দল থেকে নির্বাচিত আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। সাদা দল থেকে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টেন্ডার কমিটি এবং শিক্ষক নির্বাচন কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগের কোনো সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করা বা কোনো আওয়ামী লীগ সরকার দ্বারা নির্বাচিত কোনো পদ আমি কখনো গ্রহণ করিনি। কিন্তু কীভাবে ভোল পাল্টানো হয়েছে তা আমার বোধগম্য নয়।

রিপোর্টের আরেক জায়গায় বলা হয়েছে, ‘হিরোর মতো বিতর্কিত ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুম ও টিচারস লাউঞ্জ আধুনিকায়ন করেও সমালোচনার জন্ম দেন মিজান।’ বিশ্বের সব দেশে অ্যালামনাইরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজে সরাসরি আর্থিক এবং অনার্থিক সহায়তা প্রদান করে থাকেন। আবুল খায়ের হিরো স্বেচ্ছায় এবং স্বপ্রণোদিত হয়ে তার নিজ বিভাগের উন্নয়নে সহায়তা প্রদান করলে তার দায়-দায়িত্ব আমার ঘাড়ে আসবে কেন? আর এটা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ সমালোচনা করেছে বলে আমার জানা নাই। বরং, বিভাগের অধিকাংশ শিক্ষক মিটিংয়ে উপস্থিত থেকে আবুল খায়ের হিরোকে উন্নয়নে সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছিল।

রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘শেয়ার ব্যবসায় সম্পৃক্ত হওয়ার এক বছরের মধ্যেই তিনি রাজধানীর বনানীতে কিনেছেন প্রায় ৩ কোটি টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট ও দামি গাড়ি।’ আমি ৯০-এর দশক থেকে শেয়ারবাজারে সরাসরি সম্পৃক্ত আছি। ২০০৭ সালের আগ পর্যন্ত ঢাকা শহরে আমার কোনো গাড়ি-বাড়ি ছিল না। আরও উল্লেখ্য যে, কখনো আমি ঢাকা শহরে এক কোটি টাকা মূল্যেরও ফ্ল্যাট কিনিনি। সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ ছাড়াই ‘তিন কোটি টাকার ফ্ল্যাট ও গাড়ি’ কেনার অলীক তথ্য মানহানিকর।

আমি নিজে ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে কাজ করি। একইসঙ্গে ডেনমার্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনে বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের অ্যাম্বাসেডর হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করছি। দায়িত্বের অংশ হিসেবে এ আন্দোলনে শহীদ বা আহত পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে সহায়তা প্রদানে অংশগ্রহণ করি। এনআরবিসি ব্যাংক ছাড়াও ইতোপূর্বে আরও অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান থেকে সহায়তা গ্রহণ করে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ভুক্তভোগী ছাত্র-জনতার পাশে দাঁড়িয়েছি। সবকিছু চেকের মাধ্যমে ভুক্তভোগী পরিবারবর্গকে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং, ছাত্রদের বিতর্কিত করার চেষ্টার যে কথা রিপোর্টে বলা হয়েছে তা ভিত্তিহীন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ক্রীড়াবিদ শওকত আলীর স্মরণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

শাহরিয়ার কবির আটক

সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার

রাসূল (স.) আদর্শ ধারণ করে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে

ঝিনাইদহে নাশকতা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

সাবেক রেলমন্ত্রী সুজনের গ্রেপ্তারের খবরে বিএনপির আনন্দ মিছিল

মানিকগঞ্জে ধলেশ্বরী নদী থেকে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার

ভূমি উপদেষ্টার পরিদর্শন, হয়রানি ছাড়া নামজারি খতিয়ান পেয়ে উৎফুল্ল নাজিম  

চট্টগ্রামে জশনে জুলুশে মানুষের ঢল  

বন্যা পরবর্তী প্রাণী চিকিৎসায় বাকৃবি শিক্ষার্থীরা

১০

‘দুনিয়া ও আখিরাতে মুক্তির জন্য রাসুল (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণ করতে হবে’

১১

নার্সের ভুলে ৩ দিনের শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ

১২

‘স্মরণকালের সবচেয়ে বড় গণসমাবেশ’ করার প্রস্তুতি বিএনপির

১৩

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত

১৪

রাত ১টার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

১৫

সিরাজগঞ্জে কবরস্থানে মিলল অস্ত্র ও গুলি

১৬

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে জামায়াতের নায়েবে আমিরের মতবিনিময়

১৭

২৮ থেকে ৪২তম বিসিএসের বঞ্চিত সেই ক্যাডাররা ফের বঞ্চনার শিকার

১৮

তিন বিভাগে ভারি বৃষ্টির আভাস

১৯

আমার কষ্ট নেই, আজ আমরা স্বৈরাচারমুক্ত : আহত তানভীরের পিতা

২০
X