বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর মরদেহ কবর থেকে তুলে ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিম চৌধুরী এ নিয়ে একটি রিট করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে ব্যারিস্টার মাহদীন চৌধুরী শুনানি করেন।
আদালতের নির্দেশের পর ব্যারিস্টার সামিরা তানজিম চৌধুরী বলেন, আমার বাবা ১/১১ এর পর দেশেই ছিলেন, তিনি পান্থপথের একটি বাসায় থাকতেন। আমার বাবার মৃত্যু নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন উঠুক, সেটা আমি চাই না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার স্বৈরাচার সরকার আমার বাবাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে বারবার হেনস্তা করা হয়েছে। তার মৃত্যু নিয়ে পরিকল্পিতভাবে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করা হয়, যা অত্যন্ত বেদনার। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা, দেশপ্রেমিক। তাকে যথাযথ সম্মান দেওয়া হয়নি। আমরা চাই লাশের ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে ধোঁয়াশা যেন দূর করা হয়।
২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার একটি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন বলে নিশ্চিত করেছেন তার মেয়ে সামীরা তানজীন।
এদিকে, বেশ কিছুদিন ধরে হারিছ চৌধুরীর চাচাতো ভাই আশিক চৌধুরী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তার মারা যাওয়ার কথা ইঙ্গিত দিলেও সরাসরি কিছু বলেননি। তখন থেকে বিষয়টি আলোচনায়।
তবে হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামীরা তানজীন চৌধুরী বিষয়টি খোলাসা করেন। তিনি জানান, তার বাবা ঢাকাতেই ইন্তেকাল করেছেন।
এর আগে, হারিছ চৌধুরীর অবস্থান নিয়ে নানা রকমের গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। অনেকে বলেছিলেন, হারিছ চৌধুরী লন্ডনে ইন্তেকাল করেছেন। কিন্তু সবার ধারণা ভুল প্রমাণিত করেছেন তিনি। স্বদেশেই থেকেছেন। তবে কখনো তাবলিগ-জামাতের হয়ে দ্বীনের দাওয়াতে আবার কখনো করেছেন মসজিদে ইমামতি।
সামীরা বলেন, ‘সিলেটের কানাইঘাটে পারিবারিক গোরস্থানে দাদুর কবরের পাশে বাবাকে সমাহিত করার কথা ছিল। কিন্তু আশিক চাচা (আশিক চৌধুরী) সাহস করলেন না।’
মন্তব্য করুন