দুই ধরনের বেতন-বৈষম্য নিরসন ও দশম গ্রেড বাস্তবায়ন চেয়ে দেশজুড়ে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিজিএ) ও এর অধীন তিন অধিদপ্তরের অডিটর কর্মকর্তারা।
বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ সিজিএ কার্যালয়ের সবুজ চত্বর অডিটররা উপস্থিত হয়ে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
সিএজির আওতাধীন সিজিএ কার্যালয়, বিভিন্ন অডিট অধিদপ্তর এবং সিজিডিএফ কার্যালয়ে কর্মরত অডিটরা। এ ছাড়া সারা দেশের বিভাগ, জেলা ও উপজেলার হিসাবরক্ষণ অফিসের অডিটরেরা টানা কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। বৈষম্য দূর করে দশম গ্রেড বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন আন্দালনরত কর্মকর্তারা। আগামীকালের মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের থেকে প্রজ্ঞাপন (জিও) জারি না হলে আগামী রোববার মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি দেওয়াও ঘোষণা দেন কর্মকর্তারা।
আন্দোলনে আসা সিএএফও, পার্বত্যবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অডিটর আমিলুর ইসলাম বলেন, সরকারের সম্পূর্ণ বাজেট হিসাব বিভাগের দ্বারা ব্যয় করা হয়। আর এই মহাকর্মযজ্ঞ সম্পন্ন করেন অডিটররা। কিন্ত একই অর্গানোগ্রামে একই পদে দুই ধরনের বেতন বৈষম্য রয়েছে। এই বৈষম্য নিরসনের অডিটর পদকে ১০ম গ্রেটে উন্নীতকরতে হবে। আদালতে রায়ের আলোকে ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে করা হোক। বর্তমান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল স্যারও আমাদের দাবি পক্ষে মতামত দিয়েছেন।
অডিটর আহমেদুর রহমান ডালিম বলেন, ১০ম গ্রেড আমাদের দাবি নয়, অধিকার। এই অধিকারের পক্ষে আদালতেরও রায় রয়েছে। একই পদে চাকরি করে কেউ বেতন পায় ১০ম গ্রেডে। আর আমরা পাই ১১তম গ্রেডে, যা চরম বৈষম্য। বেতন বৈষম্য নিরসনে দীর্ঘদিন ধরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে উপস্থাপন করলেও তারা উপেক্ষা করেছে। নতুন বাংলাদেশে বৈষম্যের ঠাঁই নাই। আমরা বৈষম্যের নিরসন চাই। বৃহস্পতিবারের মধ্যে ১০ম গ্রেডের সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি না হলে সারাদেশ থেকে অডিটররা ঢাকা মুখি হবে। রোববার থেকে মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি পালন করা হবে।
অডিটর এনামুল হক বলেন, আমাদের এক অডিটর পদে দুটি গ্রেড। একটি ১১তম গ্রেড আর মামলাকারী ৬১ জনকে শুধু দশম গ্রেডে উন্নীত করা চরম বৈষম্য। বৈষম্য দূর করার জন্য যে চিঠিটি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে, সেই চিঠির প্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এ বিষয়ে দশম গ্রেডের পক্ষে মতামত দিয়েছেন। তারপরও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যয় বাবস্থাপনা বিভাগ সেটি বাস্তবায়ন করছে না। আমরা দ্রুত এর বাস্তবায়ন চাই। আদালতের রায়ের আলোকে ২০১৮ সাল থেকে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবি করে আসছেন অডিটররা।