ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) ২০২৩-২০২৫ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে খাতভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশনের ২৩টি পদের মধ্যে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের ১৫ জন এবং ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের ৮ জন পরিচালক পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচিতদের মধ্যে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ থেকে হাফেজ হাজী মোহাম্মদ এনায়েত উল্লাহ ১ হাজার ২৯৪টি ভোট পেয়ে পরিচালক নির্বাচিত হন। এ ছাড়া বি. এম. শোয়েব ১ হাজার ২৭৯টি, মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ ১ হাজার ২৫৭টি, সিরাজুল ইসলাম ১ হাজার ২৪৬টি, মো. সহিদুল হক মোল্যা ১ হাজার ২১৫টি, নিজাম উদ্দিন রাজেশ ১ হাজর ১৯১টি, মো. মুনতাকিম আশরাফ ১ হাজার ১৭৫টি, রাকিবুল আলম দীপু ৯৯২টি, মোহাম্মদ আফতাব জাভেদ ৯৬৬টি, মো. ইসহাকুল হোসেন সুইট ৮৯১টি, আমির হোসেন নূরানী ৮৫২টি, সৈয়দ মো. বখতিয়ার ৮৪০টি, তপন কুমার মজুমদার ৮৩৫টি, সালমা হোসেন অ্যাশ ৮৩১টি এবং হাজী মো. আবুল হাশেম ৮১৫টি ভোট পেয়ে পরিচালক নির্বাচিত হন।
এ ছাড়া ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের নির্বাচিতদের মধ্যে কাওসার আহমেদ ১ হাজার ৩০টি, খন্দকার রুহুল আমিন ৯৮৮টি, মো. আমিন হেলালী ৯১১টি, মো. নিয়াজ আলী চিশতী ৯০৯টি, আবু মোতালেব ৮৯৯টি, শমী কায়সার ৮৫২টি, রাশেদুল হোসেন চৌধুরী রনি ৮৩৭টি এবং হাফেজ হারুন ভোট পান ৮১৩টি। নির্বাচিত পরিচালকদের ভোটে আগামী ২ আগস্ট এফবিসিসিআই সভাপতি, সিনিয়র সহসভাপতি এবং ছয়জন সহসভাপতি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় এফবিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।
খাতভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচিত ২৩ পরিচালক পদের বিপরীতে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪৯ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ প্যানেল থেকে ২৩ জন, সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ প্যানেল থেকে ২৩ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ৩ জন পরিচালক প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এবারের নির্বাচনে খাতভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশনে প্রাথমিকভাবে মোট ১ হাজার ৯৯০ জন ভোটার থাকলেও যাচাই-বাছাই শেষে ১ হাজার ৯৫৪ জন ভোটার ভোট প্রদানের জন্য চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পান। এর মধ্যে নির্বাচনে ভোট দেন ১ হাজার ৭৪৬ জন। অর্থাৎ নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতির হার ছিল ৮৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
মন্তব্য করুন