বন্যাকবলিত এলাকায় ৭৮ হাজার গর্ভবতী নারীর নিরাপদ প্রসব নিশ্চিতকরণ ও সেসময়ে নারী ও মেয়েদের মৌলিক চাহিদা পূরণের আহ্বান জানিয়েছে ইউএনএফপি।
সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) ইউএনএফপি বাংলাদেশের প্রতিনিধি ক্রিস্টিন ব্লোখস দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশের ভয়াবহ আকস্মিক বন্যায় ৫০ লাখ ৮২ হাজারেরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সহযোগিতায় এ আহ্বান জানিয়েছে।
বন্যা সংকটে নারী, কিশোরী এবং তৃতীয় লিঙ্গের মানুষও উচ্চতর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তাদের মধ্যে ৭৮ হাজারের বেশি গর্ভবতী নারী রয়েছেন। আগামী সপ্তাহগুলোতে কয়েক হাজার সন্তান জন্ম দিবেন। ক্ষতিগ্রস্ত কেন্দ্রগুলোতে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে বিশেষত নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তার অভাবে নারী এবং মেয়েরা জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতার ঝুঁকিরও সম্মুখীন হয়।
বাংলাদেশে ইউএনএফপিএ প্রতিনিধি ক্রিস্টিন ব্লোখস বলেন, আমরা বন্যাকবলিত এলাকার নারী ও মেয়েদের নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, বিশেষ করে যারা গর্ভবতী। অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্যসেবা, বিশুদ্ধ পানি এবং নিরাপদ আশ্রয় থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায়, তারা গুরুতর ঝুঁকির সম্মুখীন হয়। ইউএনএফপিএ তাদের নিরাপদ জন্ম নিশ্চিত করতে এবং সুরক্ষা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মানবিক অর্থায়নে জরুরি প্রয়োজনে ইউনাইটেড কিংডমের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস এবং অস্ট্রেলিয়ান এইড, ইউএনএফপিএর সহায়তায়, এর অংশীদার এবং যুব স্বেচ্ছাসেবকরা মোবাইল ক্লিনিকের মাধ্যমে তাদের কিট, মাসিক স্বাস্থ্যবিধি সরবরাহ এবং জরুরি প্রজনন স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করছে। ইউএনএফপিএ নোয়াখালী, ফেনী এবং খাগড়াছড়ি এলাকায় প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং উপকরণসমূহ সরবরাহ করেছে। ইতিমধ্যে ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্য ক্লিনিকের মাধ্যমে ২ হাজারেরও বেশি নারী ও মেয়ের কাছে পৌঁছেছে। সেই সঙ্গে ইউএনএফপি নারী, কিশোরী এবং লিঙ্গ বৈচিত্র্যপূর্ণ জনসংখ্যার জন্য তহবিল বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া জীবন রক্ষাকারী স্বাস্থ্যসেবা, সময়মত নগদ সহায়তা, নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।
ক্রিস্টিন ব্লোখস বলেন, জলবায়ু সংকট পরিবেশকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে। প্রাণহানি রোধ করতে এবং সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তায় আমাদের জরুরি, সমন্বিত মানবিক প্রচেষ্টা এবং বর্ধিত তহবিল প্রয়োজন।
মন্তব্য করুন