কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৪৭ এএম
আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বিডিআর বিদ্রোহের পুনঃতদন্ত শিগগিরই শুরু হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

পিলখানা বিডিআর বিদ্রোহের পুনঃতদন্ত শিগগিরই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে অফিস কক্ষের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের অধিকার, সুশাসন এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য বদ্ধপরিকর। শুধু স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে নয়, একজন সাধারণ নাগরিক ও সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সদস্য হিসেবে আমি বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার চাই।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সঠিকভাবে এ হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত ও ন্যায়বিচারের প্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু করা হবে।

বিডিআর বিদ্রোহের মর্মান্তিক সে ঘটনা নিয়ে সেনাবাহিনী গঠিত তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, যিনি তার আগে বিডিআর প্রধানেরও দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর সদরদপ্তরের সংঘটিত বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন নিহত হন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন তোলে ওই ঘটনা।

এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুইটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে মুক্তি আটকে আছে ৪৬৮ বিডিআর সদস্যের।

হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ৮৫০ জনের বিচার কাজ শেষ হয়েছে। এতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন।

২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর সেই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায়ও হয়ে যায় হাইকোর্টে। তাতে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয় ১৮৫ জনকে এবং বিভিন্ন মেয়াদে ২২৮ জনকে সাজা প্রদান করা হয়। এছাড়া ২৮৩ জনকে খালাস দেওয়া হয়।

হাই কোর্টের রায়ের পূর্বে ১৫ জনসহ মোট ৫৪ জন আসামি মারা গেছেন। হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে ২২৬ জন আসামি আপিল ও লিভ টু আপিল করেছেন। অন্যদিকে হাই কোর্টে ৮৩ জন আসামির খালাস এবং সাজা কমানোর রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এসব আপিল ও লিভ টু আপিল এখন শুনানির অপেক্ষায়।

অন্যদিকে বিস্ফোরক আইনের মামলায় ২০১০ সালে ৮৩৪ জন আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু মাঝপথে বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম এক প্রকার স্থগিত রেখে শুধু হত্যা মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ফলে এ মামলার বিচার ঝুলে যায়। তবে শাসন ক্ষমতার পরিবর্তনে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার তদন্ত পুনরায় শুরুর দাবি উঠে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কানাডায় নিখোঁজ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

কিছু মানুষ ভূমিকম্প টের পায় না কেন?

শেখ হাসিনার ভারতে থাকার মেয়াদ বাড়াল নয়াদিল্লি

এবার অস্ট্রেলিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নিয়ে জেলাভিত্তিক কর্মসূচি শুরু আজ

চীনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃত্যু শতাধিক, চাপা পড়া জীবিতদের নিয়ে উদ্বেগ

অনৈতিক কাজে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে অ্যাসিড মেরে হত্যা

ফেনীতে অগ্নিকাণ্ডে মুহূর্তেই পুড়ে ছাই ১৭ ঘর

খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে আহত বিএনপি নেতা সোহেল

ঢাকার বাতাস আজও ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’

১০

খালেদা জিয়ার লন্ডনযাত্রা / দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন কায়কোবাদ

১১

প্রবাসীদের পাসপোর্ট নিয়ে যে সুখবর দিল সরকার

১২

আসছে সপ্তাহব্যাপী শৈত্যপ্রবাহ, শীতের দাপট থাকবে যেসব অঞ্চলে

১৩

যৌতুকের শিকলে বন্দি গৃহবধূ তানিয়া

১৪

৮ জানুয়ারি : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৫

সিরিয়ার সঙ্গে হাত মেলাল ইসরায়েলের মিত্র দেশ

১৬

৮ জানুয়ারি : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৭

বুধবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১৮

গোয়াইনঘাট সীমান্তে বিজিবি সদস্যের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা

১৯

‘আ.লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে ভোগের বস্তু মনে করেছিল’

২০
X