সারা দেশে আগস্টে ১৪৭ নারী ও কন্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এরমধ্যে ৫১ কন্যা এবং ৯৬ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তারমধ্যে তিনজন কন্যাসহ সাতজন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে, দুজন কন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়াও ১ জন কন্যাসহ ২ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে ৯ কন্যাসহ ১১ জন। উত্ত্যক্তকরণের কারণে আত্মহত্যা করেছে ১ কন্যা। নারী ও কন্যা পাচারের ঘটনার শিকার একজন। তিনজন অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫ জন, এরমধ্যে ১ জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫ কন্যাসহ ১৭ জন।
পারিবারিক সহিংতায় শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ৩টি। ১ গৃহকর্মীকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন কারণে ২ কন্যাসহ ৩০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়াও ১ কন্যাসহ ৩ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ১ কন্যাসহ ১২ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ৪ কন্যাসহ ১১ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। চার কন্যা অপহরণের ঘটনার শিকার হয়েছে। এ ছাড়াও ১ কন্যাসহ দুজনকে অপহরণের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটেছে ৩টি এবং বাল্যবিয়ের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে ১টি। ১ কন্যা সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়েছে। এ ছাড়া ২ কন্যাসহ ১২ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
এর আগে গত বছর আগস্টে ২৭৩ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ১৩৫ শিশু ও ১৩৮ নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
সেখানে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৪২ শিশুসহ ৬১ নারী। ছয় শিশুসহ ১১ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার, সাত শিশুসহ ১০ জন ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছেন। যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ১৫ কন্যাসহ ২২ জন। উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে তিন শিশু। এক শিশু অ্যাসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে।
যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এক শিশুসহ ১৫ জন। এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে শিশুসহ সাতজনকে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন পাঁচ মেয়েসহ ১৮ নারী। পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন সাতজন। দুই শিশুসহ তিন গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে এক শিশু গৃহকর্মী হত্যার শিকার হয়েছে।
বিভিন্ন কারণে ছয় মেয়েসহ ৪৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এক শিশুকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এ ছাড়া আট শিশুসহ ২৩ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ১৪ শিশুসহ ৩০ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। ১৭ শিশুসহ ১৯ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন। ফতোয়ার ঘটনার শিকার হয়েছেন একজন। এক শিশু সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছে। বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটেছে ১০টি, এর মধ্যে প্রতিরোধ করা হয়েছে ৭টি। এ ছাড়া সাত শিশুসহ ১৪ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
মন্তব্য করুন