অধস্তন আদালতে বড় ধরনের রদবদল আনা হয়েছে। মোট ৮১ বিচারককে বদলির মাধ্যমে এ আদেশ দিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদ মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) এ সংক্রান্ত পৃথক ৪টি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে এ মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে তাদের বদলি করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে জুডিশিয়াল সার্ভিসের এসব সদস্যকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে বদলি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের নামের পাশে বর্ণিত পদ ও কর্মস্থলে নিয়োগ বা বদলি করা হলো।
ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাসফিকুল ইসলামকে মাগুরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, চুয়াডাঙ্গার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. সাজ্জাদুর রহমানকে ঢাকার যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ, যশোরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. ছানাউল্লাহ বাবুকে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে বদলি করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীম, মো. মামুনুর রশিদ, রাজেশ চৌধুরী, মো. মইনুল ইসলাম, আহমেদ হুমায়ুন কবির, মোহাম্মদ শেখ সাদী, শান্ত ইসলাম মল্লিক ও আতাউল্লাহকে ঢাকার বাইরের অধস্তন আদালতে বদলি করা হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ওইদিনই সেনা সহায়তায় সামরিক একটি হেলিকপ্টারে করে দেশত্যাগ করেন বাংলাদেশ সরকারের সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকার পতনের পর থেকেই প্রশাসন থেকে শুরু করে আইন বিভাগ, বিচার বিভাগসহ সব সেক্টরে বিরাট পরিবর্তন শুরু হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় অধস্তন আদালতের ৮১ বিচারককে বদলি করা হয়েছে।
এর আগে ১১ আগস্ট বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেন প্রধান বিচারপতি মো. ওবায়দুল হাসান। এরপর ওইদিন বিকেলে আপিল বিভাগের আরও পাঁচ বিচারপতি পদত্যাগ করেন। রাতেই হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতি। আইন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
বাংলাদেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে সৈয়দ রেফাত আহমেদ ১২ আগস্ট শপথ নিয়েছেন। তাকে বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসও উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন