কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ আগস্ট ২০২৪, ০৬:৩৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে বাংলাদেশের স্বাক্ষর : আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)-এর সাধুবাদ

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের লোগো। ছবি : সংগৃহীত
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের লোগো। ছবি : সংগৃহীত

আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)-সহ দেশের নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন নাগরিক গোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের দাবি, গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ।

এ ছাড়াও গুমের শিকার ব্যক্তিদের সন্ধানে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) অন্তর্বর্তী সরকারের এমন পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানাচ্ছে। পাশাপাশি জোরপূর্বক গুম থেকে সব নাগরিকের সুরক্ষা প্রদান ও সকল গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান, শনাক্ত ও জড়িতদের সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে বাংলাদেশের স্বাক্ষরে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) সাধুবাদ জানিয়েছে। পাশাপাশি জোরপূর্বক গুম থেকে সব নাগরিককে সুরক্ষা ও গুমের শিকার সকল ব্যক্তিদের সন্ধান, শনাক্ত ও এর জন্য দায়ীদের যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় বিচার নিশ্চিতে পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানিয়েছে।

আইন ও সালিশ কেন্দ্র ( আসক) এর তথ্য মতে, ২০০৭ সাল থেকে ২০২৩ পর্যন্ত মোট ৬২৯ জন গুমের শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে লাশ উদ্ধার হয়েছে ৭৮ জনের, অপহরণের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ৫৯ জনকে এবং পরবর্তীতে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ৭৩ জনকে। বাকি ব্যক্তিদের এখনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

৩০ আগস্ট, আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসের প্রাক্কালে, আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) মনে করে, গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর ও এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিশন গঠনের মধ্য দিয়ে সমাজে যে ভীতি এবং দায়মুক্তির অপসংস্কৃতি তৈরি হয়েছিল তা থেকে উত্তরণে একটি দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

এ পর্যায়ে, আসক সরকারের কাছে ৬টি দাবি জানিয়েছে। জোরপূর্বক গুম থেকে সব নাগরিকের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। গুমের শিকার ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের যথাযথ পুনর্বাসন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা। গুমের শিকার সকল নিখোঁজ ব্যক্তিকে অনতিবিলম্বে খুঁজে বের করে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া। গুমের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করুন এবং সুষ্ঠু আইনি বিচারের আওতায় এনে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। গুমের শিকার ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের এ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়েরের জন্য আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। গুমের শিকার ব্যক্তি ও তার পরিবারের জন্য যথাযথ ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। গণমাধ্যমসূত্রে জানা যায়, ২৯ আগস্ট ২০২৪, গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। ইতোপূর্বে গত ২৭ আগস্ট ২০২৪, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গুমের ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের ‘কমিশন’ গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশনকে তদন্ত করে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) গুমের মত নিষ্ঠুর ও অমানবিক অভিযোগ উত্থাপনের শুরু থেকেই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়মিতভাবে ও নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এসব দাবি জানিয়ে আসছিল।

আসক বিশ্বাস করে, নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে এটি নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উত্তাল সমুদ্র, বন্দরে ফিরছে হাজার হাজার মাছ ধরা ট্রলার

বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ ৭ জেলে

বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা কি কমবে?

হামজাকে নিয়ে সুখবরের অপেক্ষায় বাফুফে

কিশোরগঞ্জে ত্রিমুখী সংঘর্ষে প্রাণ গেল যুবকের

৫৬ বছর ধরে চলা দ্বন্দ্বে নিহত ১৪

সমুদ্রসৈকতে ‘নারীকে’ হেনস্তা

ছাত্রশিবিরের নামে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সতর্কতা 

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে জ্যোতি গ্রেপ্তার

ম্যানসিটির শাস্তি দেখতে চায় প্রতিদ্বন্দ্বীরা: গার্দিওলা

১০

বৃষ্টির দিনে কতটা অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বাতাস?

১১

ভারত সিরিজে ধারাভাষ্য কক্ষে থাকছেন তামিম ইকবাল

১২

ইটাকুমারী জমিদার বাড়িকে স্বরূপে ফেরালেন তরুণরা

১৩

সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও দুজনের মৃত্যু

১৪

বন্যায় ব্রাহ্মণপাড়ায় সড়কে ৮৫ কোটি টাকার ক্ষতি

১৫

শোয়েব মালিকের বিরুদ্ধে আবারও ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ

১৬

চুয়াডাঙ্গায় সড়কে ঝরল শিক্ষার্থীর প্রাণ

১৭

আজ তদন্তে নামছে জাতিসংঘের ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল’

১৮

ডোনাল্ড লুকে ছাড়াই ঢাকায় মার্কিন প্রতিনিধি দল

১৯

কথিত কবিরাজি চিকিৎসকের আস্তানায় হামলা-অগ্নিসংযোগ

২০
X