উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পাট অধিদপ্তরের উচ্চ ফলনশীল (উফশী) পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং উন্নত পাট পচন শীর্ষক সমাপ্ত প্রকল্পের ১২৪ জন কর্মকর্তা/কর্মচারীদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে নির্দেশনা চেয়ে অধিদপ্তর থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
রোববার (২৫ আগস্ট) পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জিনাত আরা বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর এ চিঠি দেন।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দ্রুতই আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ১২৪ জনের ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসতে পারে। যদিও বঞ্চিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অভিযোগ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের বর্তমান সচিব মো. আব্দুর রউফের কারণে আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়ন হয়নি। তিনিই মূলত সবার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর কালবেলায় এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পরেও ১২৪ জনের চাকরি রাজস্ব খাতে নেওয়া প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে মন্ত্রণালয়ের সচিবকে ফোন করা হলে তিনি কালবেলা প্রতিবেদকের সঙ্গেও অশোভন আচরণ করেন।
পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, পাট অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘উচ্চ ফলনশীল (উফশী) পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং উন্নত পাট পচন’ শীর্ষক সমাপ্ত প্রকল্পে নিয়োগকৃত ১৫৮ সংখ্যক জনবলের মধ্যে তাদের চাকরি রাজস্বখাতে আত্মীকরণ/নিয়মিতকরণের জন্য ১২২ জন হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন নম্বর-৬৬১৭/২০১৭, ২০ জনের একটি গ্রুপ রিট পিটিশন নম্বর-৯৩৩৯/২০১৭ এবং ২৬ জনের একটি গ্রুপ রিট পিটিশন নম্বর-১২১৭১/২০১৭ দায়ের করেন। ৩টি রিট মামলায় হাইকোর্ট রায় প্রদান করেন। ওই রায়ের প্রেক্ষিতে যোগ্যতার ভিত্তিতে আত্মীকরণ/নিয়মিতকরণ না হওয়ায় ১২৪জন ৪টি আদালত অবমাননা মামলা দায়ের করেন। আদালত অবমাননা মামলার প্রেক্ষিতে ২০২২ সালের এক নভেম্বর তাদের নিয়োগের জন্য আবারও আদেশ দেন উচ্চ আদালত। যা বাস্তবায়নের জন্য চলতি বছরের ১২ আগস্ট তারা আবারও আদালতে আবেদন করেন। এমতাবস্তায় প্রাপ্ত আবেদনের বিষয়টি আইনানুগভাবে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা চেয়ে সচিব বরাবর চিঠি পাঠানো হয়।
মন্তব্য করুন