কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৪, ১২:৫৩ পিএম
আপডেট : ২৭ আগস্ট ২০২৪, ০১:০৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র

‘আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় যা প্রয়োজন অন্তর্বর্তী সরকার তাই করবে’

ছবি : সংগৃহীত।
ছবি : সংগৃহীত।

জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক তার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, আমাদের কোনো সন্দেহ নেই যে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাজনৈতিক এবং মানবিক দিক থেকে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মধ্যে দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। তারা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) আইনের শাসন এবং ন্যায়বিচার অনুসরণ নিশ্চিত করার জন্য যা যা প্রয়োজন তাই করবে বলে আমাদের আশা।

স্থানীয় সময় সোমবার জাতিসংঘের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এদিকে তাৎপর্যপূর্ণ এক সফরে ঢাকা আসছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে তিনি বাংলাদেশ সফর করবেন। একাধিক দায়িত্বশীল কূটনৈতিক সূত্র রাতে গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানিয়েছে, আগামী ৩০শে আগস্ট আন্তর্জাতিক গুমবিরোধী দিবসের আগেই গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে যুক্ত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। গত ১৫ বছর ধরে গুমবিরোধী সনদে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়ার তাগিদ ছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকার তা অগ্রাহ্য করে চলেছিল। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের অবসান এবং পরবর্তীতে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনো রকম পর্যবেক্ষণ বা শর্ত ছাড়াই ওই সনদে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, গুমবিরোধী সনদে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা এবং জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার ঢাকা সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্মরণ করা যায়, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে ৭ শতাধিক মানুষ গুমের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন। অনেকে প্রাণে বাঁচলেও এখনো ১৫০ জনের বেশি মানুষের খোঁজ নেই।

গুমবিরোধী সনদটি ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়। ৩২ দেশ এটি অনুস্বাক্ষর করার পরে ২০১০ সালে তা বাস্তবায়ন শুরু হয়। সামগ্রিকভাবে এই সনদের লক্ষ্য গুম বন্ধের পাশাপাশি এই অপরাধের জন্য দায়মুক্তি বন্ধ করা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সহায়তা দেওয়া। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৭৫টি দেশ এই সনদে যুক্ত হয়েছে।

বাংলাদেশ জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক ৯টি সনদের ৮টিতে সই করেছে। কিন্তু গুমের সনদে সমর্থন করেনি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নেওয়া বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার মানবাধিকার সমুন্নত রাখার পাশাপাশি গুমের সংস্কৃতি বন্ধ করতে চায়। এ লক্ষ্যেই গুমবিরোধী সনদে যুক্ত হওয়ার ওই ত্বরিত সিদ্ধান্ত। রাজনীতি সচেতন তবে অ্যাক্টিভিস্ট ডিপ্লোমেট নয় এমন পেশাদাররা বলছেন, সনদ সই করার পর রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুমের জন্য সরকার বা এর যে কোনো প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহির আওতায় আনার বিষয়ে ভূমিকা রাখবে জাতিসংঘ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হামলার তথ্য গোপন করতে নির্দেশ ইসরায়েলি নাগরিকদের

সংস্কার নিয়ে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত প্রয়োজন : প্রিন্স

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন ফোরামের ২১ দফা দাবি

গতানুগতিক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে : এসএম জিলানী

প্রয়োজন হলে জামায়াতের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করব : মুফতি ফয়জুল করীম

‘রানা প্লাজার মালিক কীভাবে জামিন পেল?’

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে বাবা-মেয়ের অনশন

‘পেশাগত দক্ষতার সঙ্গে নৈতিকতাসম্পন্ন চিকিৎসক হতে হবে’

লেবাননে এক দিনে আট সেনা হারাল ইসরায়েল

সাগরে সৃষ্টি হতে পারে লঘুচাপ, বাড়বে বৃষ্টি

১০

ইসরায়েলের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই আহমাদিনেজাদের বিস্ফোরক মন্তব্য

১১

‘দলে সুযোগসন্ধানী ও অনুপ্রবেশকারীদের স্থান দেওয়া যাবে না’

১২

নিজ দেশের মানুষের বিরুদ্ধে বুলেট ব্যবহার করা যায় না : স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা

১৩

ইসরায়েলি সেনাদলের ওপর হামলা, সবাই আহত

১৪

ব্যাখ্যা দিলেন ‘শিবিরই ভালো’ বলা সেই ঢাবি শিক্ষক

১৫

সাবেক এমপির ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

১৬

আখাউড়ায় মন্দিরের জায়গা উদ্ধার

১৭

বিপিএলে শাকিব খানের ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘ঢাকা ক্যাপিটালস’

১৮

সেবাগ্রহীতাদের অফিসে আটকে তালা লাগিয়ে চলে গেলেন ভূমি কর্মকর্তা

১৯

ফেনীতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে

২০
X