আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফেনীসহ অন্যান্য জেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। আপাতত আর কোথাও বন্যার আশঙ্কা নেই। তবে যদি ভারি বৃষ্টিপাত না হলে আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্যামুক্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করা যায়।
সোমবার (২৬ আগস্ট) পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ভারতের জন্য তিস্তা এলাকায় বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বিজ্ঞানভিত্তিক কারণেই বর্ষা মৌসুমে ফারাক্কার সব গেট খোলা থাকে, আর শুষ্ক মৌসুমে বন্ধ থাকে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। এ সময় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মনু, খোয়াই, ধলাই নদীসমূহের পানি সমতলে হ্রাস পেতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় এ অঞ্চলের কুমিল্লা জেলার গোমতী নদীর পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে এবং সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ফেনী জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে, তবে কোনো কোনো স্থানে স্থিতিশীল থাকতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় পূর্বাঞ্চলীয় কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনী জেলার ভারতীয় ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এবং ত্রিপুরা প্রদেশের অভ্যন্তরীণ অববাহিকাসমূহে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত পরিলক্ষিত হয়নি। উজানের নদ-নদীর পানি কমার বিষয়টি অব্যাহত রয়েছে। এতে করে বর্তমানে ফেনী ও কুমিল্লা জেলার নিম্নাঞ্চলের বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ জেলার নদীসমূহের পানি সমতল বিপৎসীমার নিচে নেমে এসেছে।
অধিদপ্তর আরও জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় এ অঞ্চলের বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলার সাঙ্গু, মাতামুহুরি, কর্ণফুলী, হালদা ও অন্যান্য প্রধান নদীসমূহের পানি সমতল সময়বিশেষে বৃদ্ধি পেতে পারে।
এ ছাড়াও ব্রহ্মপুত্র-যমুনা এবং দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল রয়েছে, উত্তরাঞ্চলের তিস্তা-ধরলা-দুধকুমার নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজমান আছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
মন্তব্য করুন