টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তলিয়ে গেছে দেশের ১১ জেলার নিম্নাঞ্চল। শুক্রবার নতুন করে বন্যার পানিতে ডুবেছে সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার জেলা। তবে এবারের বন্যায় এক নতুন বাংলাদেশ দেখেছে বিশ্ব। যে যেখান থেকে যেভাবে পারছে ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসহ সমগ্র জায়গায় চলছে গণত্রাণ সংগ্রহ কর্মসূচি। সবাই সবার জায়গা থেকে সামর্থ্য অনুযায়ী করছেন সর্বোচ্চটুকু।
এরইমধ্যে প্রবল এই বন্যায় বানভাসিদের মাঝে নিজেদেরকে বিলিয়ে দিয়েছেন প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মীরা। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে শুরু করে বন্যার্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দিচ্ছেন স্বাস্থ্যসেবা। সঙ্গে বিতরণ করছেন জরুরি ওষুধপত্র। নিজদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অকাতরে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন সেবায়।
স্বাস্থ্যকর্মী আব্দুর রশিদ বলেন, করোনাকালীনও আমরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত ছিলাম। শুধু মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস পরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেবা দিয়েছি। বর্তমানে দেশের এই ক্রান্তি লগ্নে আমরা আছি সবার পাশে। আমাদের অনেক ক্লিনিক বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। আমরা ওষুধপত্র নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়েছি। সেখান থেকে নিয়ে প্রতিদিন আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ও মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেবা দিচ্ছি।
এদিকে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে নিজেদের একদিনের বেতন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীরা।
কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত সিএইচসিপি মাসুদুর রহমান বলেন, দেশে বন্যা ভয়াবহ পরিস্থিতি রূপ নিয়েছে। চলমান পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে বন্যার্ত ভাই-বোনদের পাশে থাকতে আমরা আমাদের একদিনের বেতন প্রদান করব। আমাদের নিজেদেরও বেতন দীর্ঘদিন বন্ধ। তবুও এই মুহূর্তে আমরা আমাদের ভুক্তভোগী ভাই-বোনদের পাশে দাঁড়াব। আপনারা সবাই যার যেমন সামর্থ্য আছে সেখান থেকে ততটুকুই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন।
মন্তব্য করুন