কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ জুন ২০২৩, ০২:১১ পিএম
আপডেট : ১২ জুন ২০২৩, ০৫:৪৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি

১৪৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দুদকের

বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাচ্চু
বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাচ্চু

বহুল আলোচিত বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাচ্চুসহ ১৪৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (১২ জুন) কমিশন এ চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দেয়। চার্জশিটে ব্যাংকটির ২ হাজার ২৬৫ কোটি ৬৮ লাখ ১৪৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। সংস্থাটির সচিব মো. মাহবুব হোসেন সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, বেসিক ব্যাংক থেকে টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে সবকটি মামলার চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। এতে ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুসহ ১৪৭ জনকে এজাহারভুক্ত করা হয়। আজ বিকেলের মধ্যেই আদালতে দাখিল করা হবে।

দুদক সচিব জানান, ৫৯টি মামলায় ২ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। এসব মামলায় ব্যাংকের ১০১ জন গ্রাহক ও ৪৬ জন ব্যাংক কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়।

তিনি জানান, এসব মামলা দুদকের পাঁচজন তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করেন। তদন্ত শেষে তারা কমিশনে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। যাচাই-বাছাই শেষে কমিশন এসব মামলার চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন জ্ঞাপন করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা হচ্ছেন, দুদকের পরিচালক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম, মো. মোনায়েম হোসেন, মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান এবং মোহাম্মদ সিরাজুল হক।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালে শেখ আবদুল হাই বাচ্চু চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে ২০১৩ সালের মার্চ পর্যন্ত বেসিক ব্যাংক ৬ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকা ঋণ দেয়। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকাই নিয়ম ভেঙে দেওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানে। ফলে ২০১৪ সালে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অপসারণ করা হয়। সে বছরের ২৯ মে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিছুদিন পর ৪ জুলাই শেখ আবদুল হাই বাচ্চু পদত্যাগপত্র জমা দেন।

বেসিক ব্যাংকের ২০২১ সালের আর্থিক প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ আবদুল হাই বাচ্চুর দায়িত্বকালটা ‘অস্বস্তির’ ছিল। অনিয়মের অভিযোগে ২০১৩ সাল থেকে অনুসন্ধানে নামে দুদক। পরে ২০১৫ সালের ২১, ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর তিন দিনে টানা ৫৬টি মামলা দায়ের করে সংস্থাটি। পরে ২০১৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত আরও ৩টি মামলা যোগ হয়। এসব মামলায় মোট আসামি করা হয় ১৫৬ জনকে। সব মিলিয়ে বেসিক ব্যাংক টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ৫৯টি মামলা দায়ের করে। এসব মামলায় ব্যাংকটির চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাচ্চাকে আসামি করা হয়নি। মামলার তদন্তে তার সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তাকে ৫৮ মামলায় আসামি করা হয়।

জানা গেছে, বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনায় যখন এসব মামলা করা হয় তখন দুদক চেয়ারম্যান ছিলেন বদিউজ্জামান। তিনি মামলার তদন্ত শেষ করে যেতে পারেননি। পরের বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান ইকবাল মাহমুদ। তার পাঁচ বছরেও বেসিক ব্যাংকের তদন্ত শেষ হয়নি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মিছিলে বিএনপি নেতার গুলির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

রৌমারীতে ব্যবসায়ীদের আহ্বায়ক কমিটির শপথ অনুষ্ঠিত

৬৫ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নেয়ায় মামুনের বিরুদ্ধে যুবদলের মামলা

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

ক্ষমা পেয়ে আমিরাত থেকে ১২ জন ফিরছেন চট্টগ্রামে

‘ছাত্র জনতার আন্দোলনে হাসিনা সরকার দুই ভাবে পরাজিত’

মহানবীকে (সা.) কটূক্তিকারী সেই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা

শিবচর আঞ্চলিক সড়কে গ্রামবাসীর বৃক্ষরোপণ

মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকার চেষ্টার অভিযোগ ধামাচাপা, ৭ দিন পর ফাঁস

১২ দিনেও মেলেনি রানীনগরে নিখোঁজ নার্গিসের সন্ধান

১০

দায়িত্বশীলদের নিয়ে সাতক্ষীরায় ছাত্র শিবিরের সমাবেশ

১১

আযহারী শিক্ষার্থীরা হবে বাংলাদেশ ও মিশরীয় ঐতিহ্যের সেতুবন্ধন : মিশরীয় রাষ্ট্রদূত

১২

রাজশাহীতে বস্তাভর্তি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

১৩

আন্দোলনের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগ কর্মীকে গণধোলাই

১৪

আশুলিয়ায় গার্মেন্টস শ্রমিক অসন্তোষ ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে শ্রমিক সমাবেশ

১৫

কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

১৬

পাকিস্তানের জলসীমায় বিপুল তেল-গ্যাস মজুতের সন্ধান

১৭

বিসিবির দুর্নীতির তদন্ত দাবি সাবেকদের

১৮

পাবিপ্রবি ছাত্রলীগ কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

১৯

জেল খেটেছি তবু শেখ হাসিনার মতো পালিয়ে যাইনি : সাবেক এমপি হাবিব

২০
X