বন্যা দুর্গত এলাকায় উদ্ধার কার্যক্রমের পাশাপাশি সব ধরনের মানবিক সহায়তা প্রদান করছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির যুব স্বেচ্ছাসেবকরা। এরই মধ্যে পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধার, শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ খাবার পানি বিতরণ, জরুরি প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা ও পারিবারিক যোগাযোগ পুনঃস্থাপনে সহায়তাসহ প্রয়োজনীয় সতর্কবার্তা প্রচার করছেন তারা।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এমইউ কবীর চৌধুরী।
বিবৃতিতে বলা হয়, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে ইউএসএইডের অর্থায়নে আইএফআরসির মাধ্যমে ২ লাখ ৫০ হাজার ডলারের সমপরিমাণ প্রায় ৩ কোটি টাকার অর্থ সহায়তা পাওয়া গেছে, যা দিয়ে প্রায় ৭ হাজার ৫০০ পরিবারের মাঝে ৭ দিনের ফুড পার্সেল এবং ৩ হাজার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ৬ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। এছাড়া আমেরিকান রেড ক্রস ও সুইডিস রেড ক্রস থেকে প্রায় ৪০ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা পাওয়া গেছে, যা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোতে প্রয়োজনীয় মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এমইউ কবীর চৌধুরী জানিয়েছেন, “আকস্মিক বন্যায় দেশের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ সংকট তৈরি হয়েছে। দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এসব মানুষদের প্রয়োজনীয় সহায়তা ও ত্রাণ পৌঁছে দিতে আমরা আমাদের সব ধররেন প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে আছি। এরই মধ্যে বন্যাদুর্গত এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির অগ্রণী ভূমিকায় পাশে এসে দাঁড়িয়েছে দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন এবং বিকাশ। ভয়াবহ এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সমাজের সব স্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করছি।”
তিনি আরও বলেন, বন্যা দুর্গতদের সহায়তায় ২২ আগস্ট থেকে বিডিআরসিএসের পক্ষ থেকে ফেনীতে ২টি ভ্রাম্যমাণ পানি শোধনাগার স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া শুক্রবার থেকে নোয়াখালী ও কুমিল্লাতে আরও ৩টি ভ্রাম্যমাণ পানি শোধনাগার স্থাপন করা হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা চিহ্নিত করে ৩ হাজার পরিবারকে শুকনো খাবার (৩ কেজি চিড়া, ১ কেজি চিনি, ২৫০ গ্রাম বিস্কুট, ২ লিটার পানি, ১০ পিস খাবার স্যালাইন, ৬টি মোমবাতি ও ১ টি দিয়াশলাই) বিতরণের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সোসাইটির এছাড়াও কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম ইউনিটের নিজস্ব উদ্যোগে এবং জাতীয় সদর দপ্তরের সহায়তায় রান্নাকরা ও জরুরি শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বন্যা উপদ্রুত জেলাগুলোর জন্য ২ হাজার পরিবারের জন্য ৭ দিনের ফুড প্যাকেজ (সাড়ে ৭ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি চিনি, ১ কেজি লবণ, ১ লিটার সয়াবিন তেল ও ৫০০ গ্রাম সুজি) বরাদ্দ দিয়েছে সোসাইটি, যা সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হওয়া সাপেক্ষে প্রেরণ করা হবে।
মন্তব্য করুন