রাজধানীর কদমতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে শীর্ষ মাদক কারবারি মোছা. জরিনা বেগম (৫৬) এবং তার স্বামী মো. দেলোয়ার হোসেনকে (৬০) গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে ডিএনসি ঢাকা মেট্রো কার্যালয় (দক্ষিণ)। এ সময় জরিনা বেগমের কাছ থেকে ২ গ্রাম হেরোইন এবং ২০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) ঢাকা মেট্রো কার্যালয়ের (দক্ষিণ) সহকারী পরিচালক সুব্রত সরকার শুভ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শ্যামপুর-কদমতলীর তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক কারবারি জরিনা দীর্ঘদিন ধরে শ্যামপুর, কদমতলী ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় একটি গ্যাং তৈরি করে ইয়াবা, হেরোইন ও গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক বিক্রি করে আসছিল। জরিনা বেগম ও তার পরিবার এবং সহযোগীরা মিলে বড়ইতলা এলাকায় মাদকের আস্তানা গড়ে তোলে।
জরিনা বেগম এবং তার দুই ছেলে রাব্বি (২৫), মো. রোহানের (২২) বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় ১৬টি মাদক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে জরিনা বেগমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৫টি মামলা রয়েছে। আসামি জরিনার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায়। ঢাকায় শ্যামপুর বড়ইতলা এলাকায় তিনি বসবাস করতেন।
সুব্রত সরকার শুভ বলেন, এর আগে গত ৫ জুন ঢাকা মেট্রো. (দক্ষিণ) কার্যালয়ের ডেমরা সার্কেল জরিনা বেগমকে ৩০ গ্রাম হেরোইনসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে। এ সময় জরিনা বেগমের দুই ছেলে কদমতলী এলাকার মাদক ব্যবসায়ী রাব্বি ও রোহান, মেয়ে মোসা. তানিয়া (২৪) এবং কদমতলী এলাকার মাদক ব্যবসায়ী মো. চাঁন বাদশা (২৩), অন্তর (২৬) ও মো. রিয়াজসহ (১৯) অজ্ঞাতনামা ৭০-৭৫ জন মহিলা ও পুরষ ইট-পাথর ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আভিযানিক দলের সদস্যদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালিয়ে সিপাই হাফিজুর রহমানকে মারাত্মক জখম করে এবং জরিনাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে গত ১০ জুলাই জরিনা বেগমের মাদক আস্তানা উচ্ছেদে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ৫০ পিস ইয়াবা, ২৫০ গ্রাম গাঁজা এবং মাদক বিক্রির ৫০ হাজার টাকাসহ জরিনা বেগমের ৪ সহযোগীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা গেলেও জরিনা বেগম ও তার মেয়ে তানিয়া পালিয়ে যায়। দীর্ঘদিন আসামি জরিনা বেগম ও তার পরিবার এবং সহযোগীরা গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও আসামিদের গতিবিধি অনুসরণ করে বৃহস্পতিবার অভিযান চালানো হয়। জরিনা বেগমের দুই ছেলে ও অন্যান্য সহযোগীরা বর্তমানে পলাতক আছে। তাদের গ্রেপ্তারে সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত আছে।