বুধবার (২১ আগস্ট) থেকে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিকেল ৫টা পর্যন্ত বন্যা দুর্গত এলাকার বিভিন্ন স্থানে আটকে পড়া ২৬০ জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে স্থানান্তর করেছে ফায়ার সার্ভিস। উদ্ধারকাজের সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখতে ঢাকায় খোলা রয়েছে মনিটরিং সেল।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় এক জরুরি সভায় অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী এসব তথ্য জানান।
এ সময় তিনি বন্যাদুর্গত এলাকার সার্বিক উদ্ধারকাজের খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন। মহাপরিচালক মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রাম থেকে বিভাগীয় উপপরিচালকের নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের ১টি দল এবং ঢাকা ও বরিশাল থেকে প্রতিটিতে ১০ সদস্যবিশিষ্ট আরও ৩টি উদ্ধারকারী দল ফেনী ও বন্যাকবলিত এলাকায় প্রেরণ করা হয়। উদ্ধারকারীদল ওয়াটার রেসকিউ টেন্ডার, টিভি ক্যান্টার গাড়ি, হাইয়েস মাইক্রোবাস, রেসকিউ কমান্ড ভেহিক্যাল, জেমিনি বোট, ইন্জিনসহ ইনফ্লোটেবল বোট, লাইফজ্যাকেট, লাইফবোট, রিং বয়া, ডাইভিং সেট, থ্রোয়িং ব্যাগ, রেসকিউ রোপসহ বিভিন্ন উদ্ধার সরঞ্জাম নিয়ে ফেনীর উদ্দেশ্যে আজ দুপুরে রওনা হয়ে গেছে।
এ ছাড়া আগামীকাল শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বন্যাদুর্গত এলাকার উদ্ধারকাজ পরিদর্শন করতে যাবেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। সাথে থাকবেন পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স)।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত বন্যাদুর্গত এলাকার বিভিন্ন স্থানে আটকে পড়া ১৩৯ জন পুরুষ, ৯৯ জন নারী (যাদের মধ্যে ২ জন গর্ভবতী) ও ২২ শিশুকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। উদ্ধারকাজ চলমান রয়েছে বলে জানান তারা।
উল্লেখ্য, ফায়ার সার্ভিসের সেবা গ্রহণের জন্য হটলাইন নম্বর ১০২ এবং নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নিয়মিত নম্বর ০২২২৩৩৫৫৫৫৫ চালু রাখার পাশাপাশি সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য মনিটরিং সেলের ০১৭১৩-০৩৮১৮১ মোবাইল নম্বরে বা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এও কল করা যাবে। মনিটরিং সেলের পাশাপাশি বন্যাকবলিত এলাকার ফায়ার স্টেশনসমূহ এবং বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমেও সেবাগ্রহণকারী সকলেই দিবারাত্রি ২৪ ঘণ্টা বন্যা-সংক্রান্ত দুর্যোগে উদ্ধার বিষয়ক সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। ফায়ার স্টেশনগুলোকে আশ্রয়স্থল হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে।
মন্তব্য করুন