দেশের স্বাস্থ্য খাতকে এগিয়ে নিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজে সহযোগিতা করতে চায় চিকিৎসকদের সংগঠন ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ)।
বুধবার (২১ আগস্ট) অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় এই প্রস্তাব রাখে সংগঠনটি।
এসময় দীর্ঘ ১৫ বছর যেসব চিকিৎসক বৈষম্য ও নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, সিনিয়রিটি ও মেধার ভিত্তিতে তাদের নিয়োগের দাবিও জানিয় তারা। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে এনডিএফের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতারা বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং এনডিএফের পরিচিতি এবং সামগ্রিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, সাক্ষাৎকালে দীর্ঘ ১৫ বছরে যেসব চিকিৎসক নানাভাবে বৈষম্য ও নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, তাদের সিনিয়রিটি ও মেধাভিত্তিক যথাস্থানে পদায়নের জন্য উপদেষ্টার নিকট আবেদন করা হয়েছে।
এনডিএফ সভাপতি বলেন, সাক্ষাৎকালে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেছেন, এই একটি দলকে পাওয়া গেল যারা মন্ত্রণালয়ের কাজকে সহযোগিতা করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে। তিনি আমাদের কার্যক্রমের প্রশংসা করেছেন এবং সামাজিক ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।
জানা গেছে, উপদেষ্টার সঙ্গে এনডিএফের সাক্ষাতের সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে একজন সমন্বয়ক উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ডা. মো. নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে আহত রোগীদের চিকিৎসা প্রদান, অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রদান, কৃত্রিম অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপনে সহায়তা প্রদানসহ নানা ভূমিকা রেখেছে এনডিএফ। এ ছাড়া শহীদ ডা. সজীব সরকারের কবর জিয়ারতসহ আর্থিক সহযোগিতা প্রদান ও ব্লাড ব্যাংকের মাধ্যমে ৬০০ ব্যাগ রক্তদান পরিচালনা করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে সংগঠনটির জেনারেল সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. মো. মাহমুদ হোসেন বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ঢাকা মেডিকেলে পাঁচ হাজারের উপরে আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ওই ক্রান্তিকালের এক পর্যায়ে পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছিল যে ক্রস ম্যাচিং ছাড়াও রক্ত দিতে হয়েছে আহতদের।
ডাক্তার পদবী অপব্যবহার এবং প্রেসক্রিপশনসংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সবাই তো আমাদের প্রতিষ্ঠানে আসতে পারবেন না। যে যেখানে, সেখানকার সামাজিক পরিচয় দিতে পারেন। কিন্তু অফিসিয়ালভাবে ডাক্তার পরিচয় দেওয়া নিয়ে আমাদের আপত্তি আছে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ দেওয়া উচিত নয়। তবে প্রেসক্রিপশন নেওয়ার মতো এক্সেস প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সবার আছে কিনা?
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সিনিয়র সহসভাপতি অধ্যাপক ডা. সাজেদ আব্দুল খালেক, ফিমেল অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. হাবিবা চৌধুরী সুইট ও যুগ্ম সম্পাদক ড. শাহাদাত হোসেনসহ আরও অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন