জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে হিজড়াদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোটা সংরক্ষণের বিষয়টি স্বস্তির জায়গা তৈরি করেছে। কমিশন তা স্বাগত জানায়। এমন ইতিবাচক পদক্ষেপ উক্ত জনগোষ্ঠীর মূলধারায় সম্পৃক্ত হতে এবং দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট আমরেলা টার্ম থাকতে পারে যা কার্যার্থ্যে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। লিঙ্গ বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠীর অধিকার সুরক্ষায় একটি কল্যাণ বোর্ড গঠন করার জন্য কমিশন বারবার তাগিদ দিয়ে যাচ্ছে কিন্তু অদ্যাবধি দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
বুধবার (২১ আগস্ট ) জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, প্লান ইন্টারন্যাশনাল ও আর্টিকেল ১৯ যৌথ আয়োজনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সভাকক্ষে ‘ডিসকাশন অন ট্রান্সজেন্ডার স্টাডিজ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, লিঙ্গ বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠীর বিষয়ে আমাদের মন, মনন ও চেতনায় নেতিবাচক ধ্যানধারণা রয়েছে। এক্ষেত্রে ঐপনিবেশিক শাসনের ভূমিকা রয়েছে। বর্তমানে উন্নত চিন্তা চেতনা, গবেষণাধর্মী ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে আমাদের স্থায়ীত্বশীল অবস্থান তৈরি করতে মনোযোগী হতে হবে। এক্ষেত্রে সঠিক জ্ঞানের প্রসারে গণমাধ্যম অনবদ্য ভূমিকা রাখতে পারে। গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপনে তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের অধিকার, সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বীকৃতির বিষয়, তাদের নিয়ে বিভ্রান্তি দূরীকরণ এবং ইতিবাচক পরিবর্তনে সুস্পষ্ট কৌশল প্রণয়ন ইত্যাদি বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। জাতীয় পর্যায়ে লিঙ্গ বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং শিক্ষাগত বৈষম্য রোধ ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় সুনির্দিষ্ট ও লক্ষ্যনির্ভর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতি গুরুত্ব প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা হিজড়া জনগোষ্ঠীর আইনি অধিকার সুরক্ষা, সকল প্রকার বৈষম্যরোধ ও জীবনমান উন্নয়নে তাত্ত্বিক ও বাস্তবিক বিভিন্ন প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। উক্ত সভায় কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো: সেলিম রেজা, সচিব সেবাষ্টিন রেমা, পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ), সুশীল সমাজের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন